কুড়িগ্রামে সার্কিট হাউসে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ তুলে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
যুবলীগের দাবি, অবরোধে তাদের কোনো নেতা-কর্মী নেই।
কাঠের গুড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করতে দেখা যায়।
রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বুলু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সার্কিট হাউসে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিককে অভ্যর্থনা জানানোর সময় জেলা ছাত্রলীগের হামলায় জেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েক জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
‘তারই প্রতিবাদে স্থানীয় যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করেছে। আমিও এই অবরোধ কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়ে অংশ নিয়েছি।’
জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ানুল হক দুলাল বলেন, ‘সেখানে কোনো যুবলীগ কর্মী নেই। কারা অবরোধ করছে আমার জানা নেই।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন বলেন, ‘সড়ক অবরোধ করার তথ্য জানা নেই। আমরা খোঁজ নিচ্ছি।’
সোমবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সাখাওয়াত হোসেন শফিককে অভ্যর্থনা জানাতে গেলে জেলা আওয়ামী লীগের ওপর ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে।
তবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দাবি, সহসভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির ওপর হামলা চালিয়েছে।
শফিক জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দিতে কুড়িগ্রাম এলে সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সার্কিট হাউসে সাখাওয়াত হোসেন শফিকের উপস্থিতিতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ন ম ওবায়দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু, যুব মহিলা লীগ নেত্রী আফসানা মিমিসহ প্রায় ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
‘এ সময় ছাত্রলীগের সদস্যরা সার্কিট হাউসেও ভাঙচুর চালিয়েছে।’
এমন অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, ‘শফিক ভাইয়ের উপস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শফিক ভাইয়ের নামে স্লোগান দেয়া হয়।
‘জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নামে স্লোগান না দেয়ায় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আল আমিন সরকার লিংকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিমসহ যুবলীগের বেশ কয়েকজন কর্মী আমাকে লাঞ্ছিত করে। আমার পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে ও ধাক্কাধাক্কি হয়।’
সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের মাঝে কোনো গ্রুপিং নেই। আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুরের ছত্রছায়ায় লিংকন ও ফাহিমের নেতৃত্বে আজকের পরিকল্পিত ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।’