বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিচারক ছুটিতে, পেছাল রেইনট্রিতে ধর্ষণ মামলার রায়

  •    
  • ১২ অক্টোবর, ২০২১ ১০:৪২

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ নিউজবাংলাকে এ তথ্য দেন।

বিচারক ছুটিতে থাকায় মঙ্গলবার হচ্ছে না রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় রায়।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ নিউজবাংলাকে এ তথ্য দেন।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আলোচিত মামলাটির রায় ঘোষণার কথা ছিল।

রায় উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আসামিদের মহানগর দায়রা জজ আদালতের গারদখানায় আনা হয়। প্রিজন ভ্যান থেকে একজন একজন করে নামিয়ে গারদ খানায় নেয়া হয়। এ সময় আসামিরা হাত দিয়ে মুখ লুকানোর চেষ্টা করছিলেন।

রায় উপলক্ষে আদালত চত্বরে নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।

গত রোববার মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার দিন রাখে আদালত।

রায়ে আসামিরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবেন বলে বিশ্বাস রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জের। তিনি বলেন, ‘আলোচিত এই মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা আশা করছি। এটি আলোচিত মামলা। তা ছাড়া মূল আসামিরা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।’

আর আসামিপক্ষের আইনজীবীর দাবি, রাষ্ট্রপক্ষ কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি। তারা খালাস প্রত্যাশা করছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহীনুর ইসলাম অনি বলেন, ‘মামলার সাক্ষীরা মনগড়া কথা বলেছেন, যা জেরাতে আমরা আদালতকে জানিয়েছি। এই মামলায় সাজা দেয়ার মতো উপাদান পাওয়া যায়নি। আশা করছি, আসামিরা খালাস পাবেন।’

এর আগে গত ২৯ আগস্ট আত্মপক্ষ শুনানিতে সাফাতসহ ৫ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।

গত ২২ আগস্ট মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। অভিযোগপত্রে ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।

২০১৮ সালের ১৩ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। এর আগে ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন।

অভিযোগপত্রে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। অপর আসামি সাদমান সাকিফ, রহমত আলী ও বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়।

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর