কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাকে স্বাগত জানাতে গেলে জেলা আওয়ামী লীগের ওপর ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দাবি, সহসভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির ওপর হামলা চালিয়েছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দিতে কুড়িগ্রাম এলে সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সার্কিট হাউসে সাখাওয়াত হোসেন শফিকের উপস্থিতিতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ন ম ওবায়দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু, যুব মহিলা লীগ নেত্রী আফসানা মিমিসহ প্রায় ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
‘এ সময় ছাত্রলীগের সদস্যরা সার্কিট হাউসেও ভাঙচুর চালিয়েছে।’
এমন অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, ‘শফিক ভাইয়ের উপস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শফিক ভাইয়ের নামে স্লোগান দেয়া হয়।
‘জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নামে স্লোগান না দেয়ায় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আল আমিন সরকার লিংকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিমসহ যুবলীগের বেশ কয়েকজন কর্মী আমাকে লাঞ্ছিত করে। আমার পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে ও ধাক্কাধাক্কি হয়।’
সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের মাঝে কোনো গ্রুপিং নেই। আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুরের ছত্রছায়ায় লিংকন ও ফাহিমের নেতৃত্বে আজকের পরিকল্পিত ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।’
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মো. শাহরিয়ার নিউজবাংলাকে জানান, বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।