বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উন্নয়নের মূলে ধর্মীয় সম্প্রীতি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  •    
  • ১১ অক্টোবর, ২০২১ ২৩:০৪

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির যে স্বপ্ন ছিল, একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। সেই চেতনার ফসল, আমরা যে যেই ধর্মাবলম্বী, সে সেই ধর্মের আচার সুন্দরভাবে পালন করতে পারছি। শুধু হিন্দু-মুসলিম নয়, খ্রিষ্টান-বৌদ্ধ যে যেই ধর্মে বিশ্বাস করেন, সবাই আমরা মিলেই বাংলাদেশ। ধর্মীয় সম্প্রীতি ধারণ করে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, এটাই হচ্ছে মূল শক্তি।’

দেশ দুর্বার ও অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে। এর মূল কারণ আমরা সবাই মিলেমিশে চলছি বলে। এমন মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সোমবার রাতে রাজধানীর বনানী মাঠে গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন আয়োজিত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির যে স্বপ্ন ছিল, একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। সেই চেতনার ফসল, আমরা যে যেই ধর্মাবলম্বী, সে সেই ধর্মের আচার সুন্দরভাবে পালন করতে পারছি। শুধু হিন্দু-মুসলিম নয়, খ্রিষ্টান-বৌদ্ধ যে যেই ধর্মে বিশ্বাস করেন, সবাই আমরা মিলেই বাংলাদেশ। ধর্মীয় সম্প্রীতি ধারণ করে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, এটাই হচ্ছে মূল শক্তি।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত বছর বাংলাদেশে ৩০ হাজারের মতো মণ্ডপ হয়েছিল। এ বছর মণ্ডপ ৩০ হাজার ৫০০-এর গণ্ডি পেরিয়ে গেছে। এতে কী বোঝায়, এতে বোঝায় আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি যিনি স্বপ্ন দেখতেন একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। যেখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই মিলে এই দেশ। আমরা এই দেশের নাগরিক হিসেবে সব সুযোগ-সুবিধা একসঙ্গে ভোগ করব।

রাজধানীর বনানী মাঠে আয়োজিত দুর্গাপূজার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: নিউজবাংলা

‘আজকে সেই জায়গাটিতে তিনি না থাকলেও, যার ধমনিতে তার রক্ত প্রবাহমান তিনি দেখিয়েছেন আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি একের পর এক।’

তিনি বলেন, ‘বনানীর এই জায়গাটিতে ১৪ বছর ধরে পূজা আয়োজিত হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে, কিন্তু উৎসবে আমরা সবাই আসব। এটা আজকের সংস্কৃতি নয়, আপনারা যদি হাজার বছরের বাঙালির ঐতিহ্যে ইতিহাস দেখেন, তবে দেখবেন আমরা ধর্মীয় সম্প্রীতি ধারণ করেই এগিয়ে এসেছি।

‘আমরা পূজামণ্ডপের লাড্ডু (প্রসাদ) ভাগাভাগি করে খেয়েছি। ঈদের সময় আমাদের বাড়িতে হিন্দু ধর্মাবলম্বী বন্ধুরা আসতেন এবং আমরা একসঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করি। বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মের ব্যাপারেও তাই।’

বনানীর মণ্ডপে ঢোল বাজিয়ে পূজা উদযাপনের একটি মুহূর্ত। ছবি: নিউজবাংলা

গত ১৪ বছর ধরেই বনানীর এই মাঠে দুর্গাপূজার আয়োজন করে আসছেন গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন। মাঠে তিনটি প্রবেশ গেট রাখা হয়েছে। এই মণ্ডপে দর্শনার্থীদের যারাই আসছেন, তাদের ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ফ্রি ফেইস মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর