ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় মিরপুরে চালু হতে যাচ্ছে অত্যাধুনিক শ্মশানঘাট। এই শ্মশানঘাটের ৯০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। চলতি বছরই এর উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম।
সোমবার রাতে রাজধানীর বনানী মাঠে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন আয়োজিত দূর্গা পূজার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ সময়ই তিনি উপস্থিত হিন্দু ধর্মীয় মানুষদের শ্মশানঘাট প্রায় সম্পন্ন হওয়ার সুখরটি দেন।
মেয়র আতিকুল বলেন, ‘আমি যখন ২০১৯ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব পেলাম, তখন আমার কাছে প্রথম যে ফাইলটি আসে, সেটি ছিলো এই শ্মশানঘাটের আবেদন। তারা সেখানে উল্লেখ করেছিল, মৃতদেহ সৎকার করতে হলেই দক্ষিণে যেতে হয়। উত্তরে কোনো শ্মশানঘাট নেই।’
তিনি বলেন, ‘সুখবর হচ্ছে, গাবতলী বেড়িবাঁধের পাশে হরিরামপুরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মৃতদেহ সৎকারের জন্য অত্যাধুনিক শ্মশানঘাট নির্মাণের কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই এর ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। ভষ্ম করার সরঞ্জাম আমরা ইউরোপ থেকে আনছি। কিন্তু করোনার জন্য একটু দেরি হচ্ছে।’
মেয়র আশা প্রকাশ করেন, চলতি বছরের মধ্যেই শ্মশানঘাট পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে।
পূজা মন্ডপে দর্শনার্থীদের উদ্দেশে মেয়র আতিক বলেন, ‘আপনারা সুন্দর করে সেজে-গুজে এসেছেন। সবাইকে দেখছি, খুব ভালো লাগছে। কিন্তু দয়া করে সবাই মাস্ক ব্যবহার করুন। কারণ, এই মাস্ক আপনার সুরক্ষা। আমাদের সবাইকে সুরক্ষিত থাকতে হবে৷ কারণ, এই করোনা আমাদের অনেক প্রিয়জনকে কেড়ে নিয়েছে।’
ডেঙ্গু এখন বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘আমরা এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছি। আমাদের সুস্থতার জন্য সামাজিক আন্দোলন দরকার। ১০টায় ১০ মিনিট, প্রতি শনিবার, নিজের আঙ্গিনা করি পরিষ্কার। তিন দিনে একদিন, জমা পানি ফেলে দিন। মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার। এই হোক, আমাদের অঙ্গীকার। নিজের ঘর নিজে পরিস্কার করব এতে লজ্জার কিছু নেই।’
এ সময় মেয়র পূজা আয়োজনে সরকারের কৃতিত্বও তুলে ধরেন মেয়র।