বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সালথা-নগরকান্দায় পুরনোতে আস্থা আ.লীগের, বিজয়ী বিদ্রোহীরা বাদ

  •    
  • ১১ অক্টোবর, ২০২১ ২১:০০

সালথা উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে সাতটিতে গতবারের বিজয়ী চেয়ারম্যানদেরকে আবার দেয়া হয়েছে মনোনয়ন। নগরকান্দায় মনোনয়ন না পেয়ে গতবার যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জিতেছিলেন, এবারও তাদেরকে বেছে নেয়নি ক্ষমতাসীন দল।

ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসনের সালথা-নগরকান্দা উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন পরিষদে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে সালথায় সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যানদের ওপরই আস্থা রেখেছে ক্ষমতাসীন দল। আর নগরকান্দায় গতবার মনোনয়ন পেয়েও যারা বিদ্রোহীদের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন, তাদেরকে আবার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

আগামী ১১ নভেম্বর ভোট হবে এসব ইউনিয়ন পরিষদে। এর মধ্যে সালথা উপজেলার ৮টি আর নগরকান্দায় ৯টি।

রোববার রাতে এই নির্বাচনে তাদের চেয়ারম্যান প্রার্থী চূড়ান্ত নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে সালথার ৮টির মধ্যে একটিতে নতুন প্রার্থী। অন্য ৭ ইউপিতে গত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে যারা নির্বাচিত হয়েছিলেন, তাদেরকেই আবার প্রার্থী করেছে দল।

প্রার্থীরা হলেন: ভাওয়াল ইউনিয়নে ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়া, মাঝারদিয়া ইউনিয়নে আফছার উদ্দিন মাতুব্বার, যদুনন্দী ইউনিয়নে আব্দুর রব মোল্যা, বল্লভদী ইউনিয়নে নুরুল ইসলাম, আটঘর ইউনিয়নে মো. শহীদুল হাসান খান (সোহাগ), গট্টি ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান লাভলু, রামকান্তপুর ইউনিয়নে আশরাফ আলী লিটু ও সোনাপুর ইউনিয়নে খায়রুজ্জামান বাবু মোল্যা।

এদের মধ্যে কেবল মাঝারদিয়া ইউনিয়নের প্রার্থী প্রথমবারের মতো নৌকা প্রতীক পেয়েছেন।

এই উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, ‘দলের স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ড যে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে তার প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে আমার। স্থানীয় নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী থাকে। তবে যারা মনোনয়ন পায়নি তাদের দলের প্রতি আস্থা রেখে প্রার্থীর জন্য কাজ করতে হবে।’

নগরকান্দার ৯টি ইউনিয়নে গতবার নৌকা প্রতীক নিয়েও দলের বিদ্রোহী নেতাদের কাছে পরাজয় বরণ করেছিলেন ছয় নেতা। তাদেরকে এবারও মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। গতবার দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা ভোটারের মন জয় করেছিলেন, তাদের আবেদন আবার প্রত্যাখ্যান করেছে আওয়ামী লীগ।

গত নির্বাচনে নৌকা পেয়ে জিতেছিলেন, এমন দুই জন আবার পেয়েছেন মনোনয়ন। আর নতুন মুখ এসেছে একটিতে।

এর মধ্যে রামনগর ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মান্দার ফকির, তালমায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রনজিৎ কুমার মণ্ডল, লস্করদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসকেন্দার মাতুব্বর, ডাঙ্গীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম, ফুলসুতি উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন, কাইচাইল ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তোফা হোসেন খান, চরযোশরদী তে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান সাহেব ফকির, পুরাপাড়ায় ব্রাহ্মণডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলায়েত হোসেন মিয়া, কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নে বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য খন্দকার জাকির হোসেন নিলু লড়বেন নৌকা নিয়ে।

নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মিয়া বলেন, ‘আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগ একতাবদ্ধ হয়ে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করব।’

দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, ‘দলের সকল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের দলীয় সিদ্ধান্তের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে। মনে রাখতে হবে যারা নৌকা পেয়েছে তারা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধি।

‘যারা মনোনয়ন পাননি তাদেরকে আওয়ামী লীগ ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করবে। আমি বিশ্বাস করি, দলের হাই কমান্ড যোগ্যদেরই নৌকা প্রতীক দিয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর