হত্যা চেষ্টায় ঘরে আগুন দেয়া হয়েছে দাবি করে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মেহেরপুর গাংনীর এক গৃহবধূ।
প্রবাসীর স্ত্রী সোনিয়া খাতুন সোমবার দুপুরে গাংনী থানায় অভিযোগ করেন বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান।
অভিযোগকারী সোনিয়া খাতুন থাকেন মটমুড়া ইউনিয়নের ভোলাডাঙ্গা গ্রামে। তার স্বামী মো. আলামিন সৌদি আরব প্রবাসী। গ্রামের বাড়িতে সোনিয়া একাই থাকেন।
পুলিশ জানায়, সোনিয়ার বাড়িতে রোববার রাতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তাতে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
অভিযোগে গৃহবধূ জানান, প্রতিবেশী পারভেজের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে আগুন দেয়া হয়। হত্যা করার জন্যই আগুন লাগিয়ে দেন পারভেজ।
প্রতিবেশী রোজিনা বেগম বলেন, ‘মাঝরাতে সোনিয়াদের বাড়িতে আগুন দেখতে পেয়ে আমরা তা নেভাতে চেষ্টা করি। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোক এসে আগুন নেভায়।’
সোনিয়া জানান, স্বামী আলামীন তিন বছর ধরে সৌদি আরবে থাকেন। বাড়িতে একা পেয়ে প্রতিবেশী পারভেজ দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। রোববার সন্ধ্যায় পারভেজ এ নিয়ে গালিগালাজও করেন।
তিনি বলেন, ‘গভীর রাতে আমার ঘরে পরিকল্পিত ভাবে আগুন লাগিয়ে দেন পারভেজ। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে আমাকে উদ্ধার করে ও বামন্দী ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।’
বামন্দী ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার ইসাহক আলী বিশ্বাস জানান, রোববার রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে এক ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুণ নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে, তা এখনও জানা যায়নি।
প্রতিবেশী পারভেজ বলেন, ‘রাতে সোনিয়ার বাসায় আগুন লাগলে পরিবারের লোকজন নিয়ে আমরা আগুন নেভাতে সাহায্য করি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা।’
গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।