দুই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে করা মামলার রায় মঙ্গলবার।
এদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম রায় ঘোষণা করবেন।
গত ৪ অক্টোবর দুদক এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ১২ অক্টোবর তারিখ রাখেন।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে আদালতে ন্যায়বিচার চান বাবর। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
বাবরের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম সোমবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুদক এই মামলায় প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা মামলাটির বিপরীতে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত আদালতে উপস্থাপন করেছি। তাই আশা প্রকাশ করছি, এই মামলায় আমরা ন্যায় বিচার পাব এবং আসামি খালাস পাবেন।’
দুদকের পক্ষের প্রধান আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এই মামলায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তাই আশা করছি, আসামি মামলায় সর্বোচ্চ কারাদণ্ড এবং অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৮ মে যৌথবাহিনীর হাতে আটক বাবরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের মামলাটি রমনা থানায় করা হয় ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি।
মামলাটি করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
এতে বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে বাবর দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রাইম ব্যাংক ও এইচএসবিসি ব্যাংকের দুটি এফডিআরে ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
এর আগে ২০১৪ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় এবং ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় বাবরকে।
১৯৯৬ সালে বিএনপিতে নাম লেখানো বাবর ছিলেন বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খুব ঘনিষ্ঠ। ২০০১ সালে নেত্রকোণার-৪ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর।