দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৫৯৯ জনের দেহে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৮ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৬৯৯ জনের।
২৪ ঘণ্টায় দেশের ৮২১টি ল্যাবে করোনার ২৩ হাজার ১৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। দেশে এ নিয়ে টানা ২১ দিন করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে।
গত এক দিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৩৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ ১৫ লাখ ২৪ হাজার ৪৬৭ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২ জন, নারী ৯ জন। এর মধ্যে বিশোর্ধ্ব ১, চল্লিশোর্ধ্ব ৩, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৩, ষাটোর্ধ্ব ২ ও সত্তরোর্ধ্ব ২ জন।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপর রয়েছে বরিশাল বিভাগ, ২ জন। এ ছাড়া, খুলনা ১ ও ময়মনসিংহে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে টানা ২১ দিন দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে।
গত বছরের মার্চে ছড়ানো করোনা বছরের শেষ দিকে নিয়ন্ত্রণে আসার পর চলতি বছর এপ্রিলের আগে থেকে আবার বাড়তে থাকে। এর মধ্যে প্রাণঘাতী ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পর এপ্রিলের শুরুতে লকডাউন এবং ১ জুলাই থেকে শাটডাউন দেয় দরকার।
তবে সংক্রমণ কমে আসার পর আগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকে ধীরে ধীরে সব বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হতে থাকে। ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় স্কুল-কলেজ। এখন বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তারিখও ঘোষণা হয়েছে। এখন কার্যত কোনো বিধিনিষেধই নেই। এই পরিস্থিতিতেও সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমে আসায় অনেকটাই স্বস্তিতে সরকার।