ফরিদপুরের নগরকান্দায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারর বিরুদ্ধে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের ১০টা কজি দরে ৩০ কেজি চাল দেয়ার কথা। তবে ডিলার দীর্ঘদিন ধরে সঠিক ওজনের চাল দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ কার্ডধারীদের।
অভিযুক্ত ডিলারের নাম রাফেজা বেগম। তার বাড়ি তালমা ইউনিয়নে এবং তার দোকান ইউনিয়নের পাগলপাড়া বাজারে।
জেলার নগরকান্দা খাদ্য বিভাগের বাস্তবায়নে তালমা ইউনিয়নের ১, ২, ৩, ৬ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৬৩৭ জন কার্ডধারীর মাসে একবার ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল নেয়ার কথা ডিলার রাফেজা বেগমের দোকান থেকে।
রোববার বিকেলে রাফেজার দোকানে গিয়ে দেখা যায়, তিনি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করছেন।
এ সময় ট্যাগ অফিসার তালমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা খানম কচিকে সেখানে দেখা যায়নি।
চাল বিতরণ সঠিকভাবে হচ্ছে কি না তা জানতে ডিলারের দোকানে প্রবেশ করেন এই প্রতিবেদক। তবে চাল ওজন দেয়া দেখতে বাধা দেন রাফেজা।
তিনি বলেন, ‘অফিসাররা এসে সব দেখে গেছে। আপনারা চাল মাপা দেখবেন কেনো? গোডাউন থেকে চাল ওজনে কম দেয়া হয়। কিছু বস্তা ফেটে গিয়ে চাল নষ্ট হয়ে গেছে, তাই কার্ডধারীদের ওজনে কিছু চাল কম দেয়া হচ্ছে।’
রাজিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে আসা কয়েকটি চালের বস্তা মেপে দেখার উদ্যোগ নেয়া হয়। এর পর দেখা যায়, বস্তাগুলোয় ৫০ কেজি চাল সঠিক মাপেই আছে।
চাল নিতে আসা কার্ডধারী আকলিমা বেগম বলেন, ‘ডিলার প্রতিবারেই চাল ওজনে কম দিচ্ছে। কেউ পাচ্ছে ২৬ কেজি, আবার কেউ পাচ্ছে ২৮ কেজি। মাঝে মধ্যে বালতি দিয়ে চাল মেপে দিচ্ছে।’
আরেক কার্ডধারী সবুর মোল্লা বলেন, ‘বাড়িতে গিয়ে চাল মেপে দেখেছি কোনোবার ২৫ কেজি আবার কোনো বার ২৬ কেজি হয়েছে।’
ট্যাগ অফিসার আনোয়ারা খানম কচি বলেন, ‘রোববার সকালে রাফেজা বেগমের দোকানে গিয়েছিলাম। তবে আমার জরুরি কাজ থাকায় চলে আসি। আমার অনুপস্থিতিতে চাল বিতরণ করতে পারবে না, এরকম কোনো নিয়ম আমার জানা নেই।’
উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আজাহার বলেন, ‘গোডাউন থেকে সঠিক ওজনে চাল মেপে দিয়েছি। আমাদের থেকে উপজেলার ডিলাররা চাল বুঝে নিয়ে, তারপর সই করেন। গুদাম থেকে সঠিকভাবেই চাল দেয়া হয়েছে।’
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) জেতী প্রু বলেন, ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম দুর্নীতি যে ই করবে, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’