রাজধানীর গাবতলীতে একটি যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ।
মুন্সিগঞ্জ সদরের মুক্তারপুর এলাকার তুরাগ নদ থেকে বেলা ২টার দিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা মো. রায়হান।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে মোহাম্মদপুরের বসিলার তুরাগ নদ থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ নিয়ে নিখোঁজ সাতজনেরই মরদেহ উদ্ধার করা হলো। তবে এখনও কারও পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ।
একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় শনিবার সকাল ৭টার দিকে ডুবে যায় ট্রলারটি।
এতে নিখোঁজ হন রুপায়ন বেগম ও তার চার বছরের ছেলে আরমান, ১৫ মাসের জেসমিন, ৩০ বছরের শায়লা বিবি, দুই বছরের রিপন, আট বছরের আরমিনা এবং পাঁচ বছরের ফারহান মনি।
তাদের মধ্যে শনিবার পাঁচজনের, সোমবার সকালে এক নারীর এবং সবশেষে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সাভার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান মাহফুজ নিউজবাংলাকে জানান, শ্সনিবার সকালে একটি ট্রলারে ১৮ জন তুরাগ নদের উত্তর পাশে আমিনবাজার থেকে গাবতলী ল্যান্ডিং স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ওই নারীরা মূলত ল্যান্ডিং স্টেশনের পাশে কয়লার ডিপোতে কাজ করতেন। কাজের সময় তারা সন্তানদের পাশে বসিয়ে রাখতেন।
তুরাগ নদ পারাপারের সময় একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় দুই নারী ও পাঁচ শিশু তলিয়ে যায়। অন্যরা সাঁতরে নদের তীরে উঠে আসেন।
ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ঘটনার পরপরই তাদের একটি ইউনিট উদ্ধারকাজ শুরু করে। পরে রাজধানীর সদর দপ্তর থেকে আরও তিনটি ইউনিট উদ্ধারকাজে যোগ দেয়।