বিদেশি চ্যানেলের ক্লিন ফিড বা বিজ্ঞাপণমুক্ত প্রচার বাস্তবায়নের মধ্যে এবার শতভাগ ডিজিটাল কেবল সিস্টেম বাস্তবায়নের কড়াকড়ি আরোপের কথা জানিয়েছে সরকার।
সচিবালয়ে সোমবার এক ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘১ নভেম্বর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে কেবল টিভি ডিজিটাইজেশন বাধ্যতামুলক করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। ক্রমান্বয়ে অন্য মেট্রোপলিটন শহরগুলোতেও এটা বাস্তবায়ন করা হবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ১ অক্টোবর থেকে ক্লিন ফিড বাস্তবায়ন এবং ঢাকা, চট্টগ্রামসহ মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে ১ নভেম্বর থেকে বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১ নভেম্বরের আগেই শতভাগ ডিজিটাল কেবল সিস্টেমের সিদ্ধান্ত হয়। আমি সেটিই আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি।
‘এটি না হওয়ায় সরকার বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। একই সঙ্গে যে চ্যানেলগুলো পে চ্যানেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায় তারা সেটি করতে পারছে না। অন্যান্য যারা সংশ্লিষ্ট তারাও বঞ্চিত হচ্ছে। এমনকি কেবল অপারেটররাও অনেক সময় বঞ্চিত হচ্ছে। কেবল ডিজিটালাইজেশন হলে দেশের লাভ, দেশের অর্থনীতির লাভ এবং সম্প্রচার মাধ্যমের লাভ। এজন্য আমরা বদ্ধ পরিকর।’
কেবল অপারেটরদের কাছ থেকে এ বিষয়ে একটি আবেদন এসেছে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তবে সেটি এখনও আমার টেবিলে আসেনি। আবেদনের বিষয়টি আমরা দেখবো। ডিজিটালাইজেশন করতেই হবে।’
দেশে কোনো টেলিভিশনের প্রচারই বন্ধ করা হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শুরুতে যেসব টিভি আমাদের এখানে ক্লিন ফিডসহ পাঠাতো কেবল অপারেটররা সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। যদিও আকাশ ডিটিএইচ সেগুলো চালাচ্ছিলো। পরবর্তীতে আমাদের মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর যে চ্যানেলগুলো ক্লিন ফিডসহ প্রচার করে সেগুলো চালু হয়েছে।
‘ক্লিন ফিড পাঠানোর দায়িত্ব চ্যানেলগুলোর, সংশ্লিষ্ট ব্রডকাস্টারের। এখানে এজেন্টদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। যারা ক্লিন ফিড পাঠাতো না তারা আমাদের তুলনায় যাদের বাজার ৫ ভাগের একভাগ সেই শ্রীলঙ্কায় পাঠায়। আমাদের তুলনায় আট নয় ভাগের একভাগ হয়তো সেই নেপালও তারা ক্লিন ফিড পাঠায়।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে ক্লিন ফিড পাঠাতো না, কারণ এই চ্যানেল যারা চালাতো তারা দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতো। তাদের সহায়তায় ব্রডকাস্টাররাও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতো। এটি সমীচীন হয়নি।
‘আমরা এখন এটি বাস্তবায়ন করেছি যা অব্যাহত থাকবে। চ্যানেলগুলো যদি ক্লিন ফিড পাঠায় তাহলে এখানে সম্প্রচার হবে। তখন সম্প্রচারে কোনো বাধা নেই। আমাদের আকাশ উন্মুক্ত। কোনো চ্যানেল আমরা বন্ধ করতে বলি নাই।’