বরগুনার আমতলী পৌরসভার মেয়র মো. মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে হয়রানি ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন একজন কাউন্সিলরের স্ত্রী।
কারাবন্দি কাউন্সিলর জিএম মুসার স্ত্রী জেসিকা তারতিলা যুথি রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়রের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তুলে ধরেন।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থেকে মেয়র মতিয়ার রহমান দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছেন। মামলা দিচ্ছেন, আবার কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবি করলে স্বজনদের নাজেহাল করছেন।’
জেসিকা তারতিলা যুথি আমতলী পৌর যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘মেয়র মতিয়ার রহমান জাতীয় পার্টি করতেন এরশাদ সরকারের আমলে। বিএনপির সময় তিনি বিএনপি নেতা ছিলেন, এখন হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
‘আমার শ্বশুর বীর মুক্তিযোদ্ধা জিএম দেলোয়ার হোসেন আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি মারা গেলে পরিবারটি নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। আমার স্বামী জিএম মুসা ও ভাসুর জিএম হাসানকে হয়রানি করা হয় নানাভাবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বরগুনা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জিএম হাসানের স্ত্রী ইসরাত জাহান রুলিয়াসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তারা বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, বর্তমান সভাপতি জিএম হাসান, বিআরডিবি চেয়ারম্যান জিএম মুসাসহ ১২ জন নেতাকর্মীকে জেলে রাখা হয়েছে। তাদের কারামুক্তির দাবিতে পোস্টার লাগাতে গেলে মেয়রের লোকজন হয়রানি করেছেন।’
মেয়র মো. মতিয়ার রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘জিএম মুসা একজন সন্ত্রাসী। তার বাহিনীর দাপটে আমরা শঙ্কিত। আমার ভাগ্নে আবুল কালাম আজাদকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করেছে তারা। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এতে আমার তো কিছু করার নেই।’।