সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চুল কাটার ঘটনায় তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা না করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে।
শিক্ষক ফারহানার অসহযোগিতামূলক আচরণের কারণে এখনও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন কমিটির প্রধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লায়লা ফেরদৌস হিমেল।
নিউজবাংলাকে লায়লা ফেরদৌস হিমেল জানান, তদন্তের কাজ এখনও শেষ হয়নি। কিছু সংশোধনীর কাজ চলছে। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার চেষ্টা করছেন তারা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শিক্ষক ফারহানা এই তদন্তকার্যে এখনও পর্যন্ত কোনো সহযোগিতা করেননি। বারবার চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি সশরীরে উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও এখনও তিনি আসেননি।
‘তিনি শুধু ই-মেইলে আবেদন করে জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ। তাকে দুই সপ্তাহ সময় দিতে হবে। তবে সেখানে অসুস্থতার প্রমাণপত্র হিসেবে কোনো চিকিৎসকের পরামর্শপত্র দেননি। এতে বোঝা যায়, তিনি তদন্ত কমিটিকে কোনো সহযোগিতা করছেন না। তার অসহযোগিতার কারণেই তদন্ত রিপোর্ট দিতে দেরি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে ফারহানা ইয়াসমিনের মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি শারীরিকভাবে অনেক অসুস্থ। আমি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সিরাজগঞ্জে যেতে পারছি না। আমি দুই সপ্তাহের সময় চেয়েছি তদন্ত কমিটির কাছে।
‘একজন মানুষ অসুস্থ থাকলে কীভাবে তদন্ত কমিটির কাছে গিয়ে কথা বলবে। আর তদন্ত কমিটির উচিত আমি সুস্থ হওয়া পর্যন্ত আমাকে সময় দেয়া।’
গত ২৬ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার হলে ঢোকার সময় ১৪ ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ ওঠে ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার জেরে এক ছাত্র আত্মহত্যার চেষ্টা করলে শিক্ষক ফারহানার অপসারণ দাবিতে আন্দোলন ও অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
ওই ঘটনার পর ফারহানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া লায়লা ফেরদৌস হিমেলকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।