বাংলাদেশে চামড়াশিল্প খাতে সুইজারল্যান্ডের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রোববার শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি সুইস উদ্যোক্তাদের চামড়াশিল্প নিয়ে কাজ করার আগ্রহের কথা জানান।
রাষ্ট্রদূত সুইজারল্যান্ডের জুরিখভিত্তিক একটি ট্যানারিশিল্প প্রতিষ্ঠানের চিঠি মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। তিনি নিজে সাভারের ট্যানারিশিল্প নগরী পরিদর্শনে আগ্রহ প্রকাশ করেন ।
শিল্প মন্ত্রণালয়ে দ্বিপক্ষীয় মতবিনিময়ের সময় শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানাসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সুইস উদ্যোক্তাদের আগ্রহকে সাধুবাদ জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘সাভারের ট্যানারিশিল্প নগরীতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার বা সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (সিইটিপি) বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সেখানে অন্যান্য সমস্যা সমাধানের চেষ্টাও চলছে। সুইস উদ্যোক্তা ও সরকার এ কাজে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে চাইলে তা গ্রহণ করা হবে।
‘স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে সুইজারল্যান্ড মানবিক উন্নয়ন খাতে বাংলাদেশকে অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এ ছাড়া রসায়ন, ওষুধ, অবকাঠামো, কারিগরি সেবা ও ভোগ্যপণ্য খাতে সুইস বিনিয়োগ উল্লেখ করার মতো।’
মতবিনিময়কালে উভয়ে মেধাসম্পদ সুরক্ষায় নতুন নতুন উদ্ভাবনের পেটেন্ট, ডিজাইন, পণ্য ও সেবার ট্রেডমার্কস্ এবং ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) ইস্যুতে একযোগে কাজ করতে সম্মত হন। এসব বিষয়ে বাংলাদেশের কী ধরনের সহযোগিতা দরকার তা জানাতে রাষ্ট্রদূত অনুরোধ জানান।
শিল্পমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে বস্ত্র ও পোশাক খাতে আমদানি বাড়াতে অনুরোধ করেন।
বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ গত এক দশকে প্রায় ৩ গুণ বেড়েছে। সেখানে বাণিজ্য বাড়ানোর আরও সুযোগ আছে।
সুইস প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে দুই দেশের মধ্যে প্রায় ৮১ কোটি ফ্রাঙ্ক সমমূল্যের পণ্য লেনদেন হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ৬৮ কোটি সুইস ফ্রাঙ্ক এবং আমদানি করেছে ১৩ কোটি সুইস ফ্রাঙ্ক মূল্যের পণ্য।