বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আপন জুয়েলার্সের কর ফাঁকির দুই মামলার বিচার শুরু

  •    
  • ১০ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:৪৬

আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শাখায় ২০১৭ সালে একযোগে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এসব শাখা থেকে ৫৩৭ কেজি ৫০০ গ্রাম সোনা ও সাত হাজার ৭৪৩ পিস হীরা জব্দ করা হয়।

আয়কর, শুল্ক ফাঁকি ও চোরাচালানের অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের মালিক গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে করা মামলায় পৃথক দুটি অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত।

ঢাকার মহানগর দায়রা আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ রোববার আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। এরপর মামলাটির বিচার শুরুর জন্য বিশেষ জজ আদালত-৭ এ পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফ হোসেন গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং আইনে করা পৃথক দুই মামলায় ২৮ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মহানগর দায়রা আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, আপন জুয়েলার্স বিভিন্ন সময় সাড়ে ১৩ মণ সোনা ও পৌনে আট হাজার পিস হীরা কিনতে গিয়ে ১৯০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা পাচার করেছে। এতে কর ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এসব অর্থ তারা বিদেশে পাচার করেছেন।

আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শাখায় ২০১৭ সালে একযোগে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শাখা থেকে ৫৩৭ কেজি ৫০০ গ্রাম সোনা ও সাত হাজার ৭৪৩ পিস হীরা জব্দ করা হয়।

আপন জুয়েলার্সের মালিকদের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১২ আগস্ট গুলশান থানায় দুটি, ধানমন্ডি থানায় একটি, রমনা থানায় একটি ও উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

২০১৭ সালে রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া দুই তরুণীকে ধর্ষনের অভিযোগ ওঠে দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদের বিরুদ্ধে।

ওই ঘটনার পরই আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে শুল্ক গোয়েন্দা। অভিযানে বিপুল পরিমাণ শুল্ক বর্হিভুত সোনা ও হীরার সন্ধান মেলে।

অলংকার আমদানির বিপরীতে আপন জুয়েলার্স বৈধ কোনো কাগজপত্র অভিযানের সময় বা পরে আদালতকে দেখাতে পারেনি।

এ বিভাগের আরো খবর