ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সেপটিক ট্যাংক থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
ওই নারীর বড় ছেলে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে শনিবার বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। রাত সোয়া ১১টার দিকে মামলাটি নেয়া হয়।
মৃত গৃহবধূর নাম নিলুফা ইয়াসমিন। তিনি বোয়ালমারী পৌর সদরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আধারকোঠা গ্রামের প্রয়াত সেনা কর্মকর্তা আবুল খায়ের মণ্ডলের স্ত্রী।
থানায় মামলা করেছেন নিলুফার বড় ছেলে ইমরান হোসেন।
তবে রোববার দুপুরে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আলম নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি নুরুল আলম জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দেলোয়ার ও রবিউল নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ শুক্রবার বাদ আসর জানাজা শেষে ছোলনা কবরস্থানে নিলুফাকে দাফন করা হয় বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ওসি বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে পুলিশ আগেই থেকেই তদন্ত শুরু করেছে। আশা করছি, শিগগিরই আসামিরা ধরা পড়বে।’
স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল জানান, তিন সন্তানের জননী নিলুফারের বড় মেয়ে প্রিয়াঙ্কার বিয়ে হয়েছে আলফাডাঙ্গা উপজেলার ফলিয়ায়। ইমরান ও অন্তর নামে তার দুই ছেলে জাহাজে কাজ করেন। আধারকোঠার বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন।
- আরও পড়ুন: সেপটিক ট্যাংকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার আনুমানিক সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে কোনো একসময় দুর্বৃত্তরা নিলুফার গলা কেটে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে যায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
সেদিন নিলুফার মেয়ে প্রিয়াঙ্কা জানান, সকালে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়ি ফেরেন তার মা। দুপুরের দিকে মাকে ফোনে না পাওয়ায় সন্ধ্যার পর তিনি বাড়ি আসেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর মায়ের গলা কাটা মরদেহ বাড়ির পেছনের সেপটিক ট্যাংকে পাওয়া যায়।