ফসলের উদ্ভাবিত জাত কৃষকদের কাছে দ্রুত পৌঁছে দিতে গবেষকদের প্রতি তাগিদ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
গাজীপুরে রোববার সকালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালায় তিনি এ তাগিদ দেন।
পেঁয়াজের নতুন দুটি জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের কাছে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) বিজ্ঞানীরা। বিনাপেঁয়াজ-১ ও বিনাপেঁয়াজ-২ জাতটিকে নিয়ে নানা পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।
এমন বাস্তবতায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘উদ্ভাবিত জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তিকে দ্রুত কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। উদ্ভাবন করে বসে থাকলে হবে না। দ্রুত কৃষকের নিকট, মাঠে সম্প্রসারণ করতে হবে।
‘কৃষকের হাতে উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তি যেতে অনেক ক্ষেত্রে ৮-১০ বছর লেগে যাচ্ছে। এটা কোনোমতেই কাম্য নয়। উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের এই গ্যাপ কমাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্ন ঘাত সহনশীল জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য গবেষক-বিজ্ঞানীদের আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে দেশে নানান চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গবেষক-বিজ্ঞানীদের নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।
‘গবেষণায় বেশি সময় দান, নিজ কর্মস্থলে অবস্থান ও মানসম্পন্ন গবেষণাকর্ম করতে হবে। ৯-৫টা সময়ে সীমাবদ্ধ না থেকে গবেষণাকর্মে নিয়োজিত থাকতে হবে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের খাদ্য ঘাটতি নেই। আলু, শাকসবজি ও ফলমূলসহ বিভিন্ন ফসল ও খাদ্যে আমরা উদ্বৃত্ত। এ উদ্বৃত্ত ফসল সারা পৃথিবীতে আমরা রপ্তানি করতে চাই। সে লক্ষ্যে আমাদের প্রস্তুতি প্রায় সমাপ্ত।
‘গত ১ বছরে কৃষিপণ্যের রপ্তানি অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তা ছাড়া এই নতুন ল্যাবগুলো থেকে সার্টিফিকেট দিলে সারা বিশ্বেই তা গ্রহণযোগ্য হবে। ফলে সামনের দিনগুলোতে রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে।’
এর আগে কৃষিমন্ত্রী নতুন স্থাপিত উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব ও মৃত্তিকা বিজ্ঞানবিষয়ক দুটি আধুনিক ল্যাব এবং প্রযুক্তি প্রদর্শনী স্টল পরিদর্শন করেন।
বারি জানিয়েছে, বর্তমানে ২১১টি ফসল নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলছে। ২০০৯ সাল থেকে এ যাবত বারি ৩০৬টি উন্নত জাত এবং ৩৬৩টি প্রযুক্তিসহ মোট ৬৬৯টি উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।