১২ থেকে ১৭ বছরের শিশুদের শিগগিরই টিকার আওতায় আনতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, ‘সরকারের হাতে এখন ৬০ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা রয়েছে। এর অর্ধেক ১২ থেকে ১৭ বছরের শিশুদের দেয়া হবে। টিকার জন্য শিশুদের নিবন্ধন হবে জন্ম নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমতি দিয়েছে।’
রোববার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে (বিসিপিএস) আয়োজিত করোনা টিকা বিষয়ক প্রেস ব্রিফিং তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “তারা (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) আমাদের বলেছে, ‘আপনারা সংক্রমণ রোধে টিকা দিতে পারেন’। গ্যাভিও আমাদের ফাইজার ও মডার্নার টিকা বেশি করে দেবে বলে আশ্বস্ত করেছে।
“বাকি অর্ধেক টিকা আমরা রেখে দেব, শিশুদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য। তারা তাদের জন্ম নিবন্ধন দিয়ে নিবন্ধন করবে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও নিবন্ধন করা যাবে।”
১২ বছর ও তার বেশি বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
এরই মধ্যে প্রায় দেড় বছর পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হয়েছে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ। সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়।