রাজধানীর নিকুঞ্জ-২ এ একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে নারী চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
খিলক্ষেত থানা পুলিশ শনিবার মধ্যরাতে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের নাম মাহফুজা আক্তার। তিনি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস করেছেন। বর্তমানে একটি পোশাক কারখানায় চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি এফসিপিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি।
খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাবরিনা রহমান মৌরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের এক রুমমেট জানান, শনিবার রাতে মাহফুজার প্রেমিক তাকে ফোন দিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে বলে জানান। ঝগড়ার সময় মাহফুজা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার হুমকি দেয় বলেও জানান। তাই সে কি অবস্থায় আছে বিষয়টি যাচাই করতে ফোন দেন তিনি।
এরপর তিনি গিয়ে কক্ষের দরজা বন্ধ পেয়ে বার বার ধাক্কা দিলেও মাহফুজা দরজা খোলেনি। অনেকবার তাকে ফোন করে সাড়া মেলেনি। এরপর হোস্টেল সুপারকে ডেকে এনে অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে দেয়া যায় মাহফুজা গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলে রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, তখন খবর দিলে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে। ওই ছেলের সঙ্গে মাহফুজার বিয়ের কথা চলছিল। পুলিশকে এসব জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
তবে নিহতের বাবা মেয়ের আত্মহত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, তার মেয়ের হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভূত হয়। পরে পাশের রুমমেটকে ডেকে পানি খেয়ে সে ঘরের দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়ে। পরে তারা তাকে মৃত অবস্থায় পায়।
খিলক্ষেত থানার এসআই সাবরিনা রহমান মৌরী বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠাই।’
তিনি আরও জানান, পরিবারের সঙ্গে ওই চিকিৎসকের যোগাযোগ কম ছিল। পড়ালেখা নিয়ে মানসিক চাপের কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন।