বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বহুদিন পর ব্যাংক, বস্ত্র, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের এক দিন

  •    
  • ১০ অক্টোবর, ২০২১ ১৪:৪৬

দুটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত। আরও পাঁচটির দাম সর্বোচ্চ সীমা থেকে ১০ পয়সা কমে লেনদেন শেষ করেছে। ৩২টি ব্যাংকের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৯টির। আর সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির ৬টি ছিল বস্ত্র খাতের।

দারুণ লভ্যাংশের পর মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দরপতনে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়া ইউনিটধারী আর ব্যাংকের শেয়ারধারীদের স্বস্তি দিয়ে সপ্তাহের লেনদেন শুরু হলো পুঁজিবাজারে।

সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা ১০টি কোম্পানির মধ্যে তিনটি ব্যাংক, এমন চিত্র সাম্প্রতিককালে পুঁজিবাজারে দেখা যায়নি।

একইভাবে সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে তিনটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এই বিষয়টি গত কয়েক মাসেও ঘটেনি।

এই দুটি খাতের বাইরে দারুণ দিন গেছে বস্ত্র খাতেও। সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির ৬টিই ছিল এই খাতের কোম্পানি।

এই খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ৫০টির দাম বেড়েছে। দর সংশোধনে যেসব খাতে দাম সবচেয়ে বেশি কমেছিল, তার মধ্যে ছিল এই খাতটিও।

সূচক আগের দিনের তুলনায় ২৫ পয়েন্ট বাড়লেও লেনদেন কমে গেছে। আট কর্মদিবস পর প্রথমবারের মতো দুই হাজার কোটি টাকার কম হাতবদল হলো।

তবে টানা দ্বিতীয় কর্মদিবস বাড়ল বেশির ভাগ শেয়ারের দর। ১২৪টি কোম্পানির শেয়ারের দরপতনের বিপরীতে বেড়েছে ২৪০টির দর। ১২ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া দর সংশোধনের মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে এই চিত্র দেখা যাচ্ছে।

রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

২০২০ সালে যেকোনো খাতের তুলনায় ভালো লভ্যাংশ দেয়া, চলতি বছর আরও বেশি আয় করা ব্যাংক খাতের শেয়ার দর তলানিতে থাকা নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। বাজারে উত্থানেও এই খাতে ছিল ধীরগতি। তবে বড় বিনিয়োগকারীরা খাতটিতে আকৃষ্ট হচ্ছেন, এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল কয়েক দিন ধরেই।

গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধনে প্রধানত স্বল্প মূলধনি ও লোকসানি বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে বেশি। আগের দুই মাসে টানা উত্থানে খুব একটা না বাড়লেও ব্যাংক খাতেও ৫ থেকে ২০ শতাংশ দরপতন ঘটেছিল।

তবে আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবারই দল বেঁধে বেড়েছিল ব্যাংকের শেয়ার দর। সচরাচর এভাবে দল বেঁধে বাড়ার পরে আবার কমে যায় দর। তবে নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনে কেবল লোকসানি একটি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২০ পয়সা। দুটি ব্যাংকের শেয়ার দর ছিল অপরিবর্তিত। বেড়েছে বাকি সব কটির দর।

সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা ১০টি কোম্পানির মধ্যে তিনটি ছিল ব্যাংক খাতের

আর এক দশকের মন্দাভাব কাটিয়ে মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সষ্ণয়পত্রের মুনাফার চেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেয়ার পর থেকে ক্রমাগত দরপতন ঘটছিল।

তবে শনিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কর্তাব্যক্তিদের বক্তব্যে পাল্টে যায় পরিস্থিতি। চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম জানিয়েছেন, ফান্ডগুলোকে তারা আরও সুযোগ-সুবিধা দেবেন। সেই সঙ্গে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আকার বাড়িয়ে তারা ১০ গুণ করতে চান।

পরদিন ৩৬টি ফান্ডের সবগুলোর দামও বেড়েছে। এর মধ্যে দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে দুটি। আরও পাঁচটির দাম সর্বোচ্চ সীমার চেয়ে ১০ পয়সা কম বেড়েছে।

সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে ৬টিই ছিল মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

বস্ত্র খাত ঘুরে গেছে দুটি ঘটনায়। এই খাতের বন্ধ কোম্পানি সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল অধিগ্রহণ করে আবার চালুর জন্য আলিফ গ্রুপকে অনুমতি দেয়ার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার ফারইস্ট নিটিংয়ের লভ্যাংশ ঘোষণা পাল্টে দিল খাতটির চিত্র।

ফারইস্ট নিটিং এবার শেয়ারপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে। করোনার বছরে চাপ কাটিয়ে আয়ের বেশি লভ্যাংশ দেয়ার বিষয়টি আগামী বছরের ভালো ভবিষ্যতের ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছেন বিনিয়োগকারীরা।

লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে দর বৃদ্ধির মূল্যসীমা না থাকার দিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩৪.৬৩ শতাংশ।

সূচক সবচেয়ে বেশি টেনে নামিয়েছে এই ১০টি কোম্পানি

ব্যাংক খাত চাঙা

ব্যাংক খাতে শেয়ারদর বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনেও আগ্রহ দেখা গেছে। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন ছিল ১৪৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এক দিনে অর্ধশত কোটি বেড়ে হয়েছে ১৯১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

লেনদেনে ব্যাংকের দর পতন হওয়া একমাত্র কোম্পানি হলো জেড ক্যাটাগরির আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, যার শেয়ার দর কমেছে ৫.৮৭ শতাংশ।

সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে আইএফআইসি ব্যাংকে ৭.৩৫ শতাংশ। ব্যাংকটির শেয়ার দর ১৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭ টাকা ৫০ পয়সা।

তারপরই ছিল সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৪৬ শতাংশ।

প্রায়ই দেখা যায়, ব্যাংক খাতের কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে পরিমাণ শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা বা সর্বোচ্চ ২০ পয়সা পর্যন্ত। কিন্তু সে অবস্থা থেকে বের হয়ে সর্বোচ্চ দর বেড়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা। ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ১ টাকা, প্রাইম ব্যাংকের ৮০ পয়সা, আল আরাফাহর বেড়েছে ৬০ পয়সা, এবি, এক্সিম, ইবিএল, ফার্স্ট সিকিউরিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৫০ পয়সা করে।

রোববার এই ছয় খাতে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে পুঁজিবাজারে

সব ফান্ডের দরে উত্থান

৩০ জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে দারুণ লভ্যাংশ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখকর অভিজ্ঞতা আনেনি। বরং যে ফান্ড ‍যত ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে, সেই ফান্ডের ইউনিটধারীর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তত বেশি।

নগদ লভ্যাংশ সমন্বয় হওয়ার কোনো কারণ না থাকলেও সেটি হয়েছেই, আবার এরপরেও ইউনিটমূল্য কেবলই কমেছে।

তবে শনিবার মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত নিয়ে বিএসইসির ইতিবাচক মন্তব্যের পরের দিন দেখা গেছে দারুণ এক চিত্র।

ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এফবিএফআইএফের দার বেড়েছে এক দিনে যতটা বাড়া সম্ভব ততটাই।

প্রথমটির দর বেড়েছে ৯.০৯ শতাংশ, দ্বিতীয়টির ৮.৭৬ শতাংশ।

এ ছাড়া পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৮.৩২ শতাংশ, আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৮.১৯, এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৮.০৫ শতাংশ, এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭.৩৫ শতাংশ, সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬.৯৫ শতাংশ, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬.৭৮ শতাংশ, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬.২৫ শতাংশ, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৬.১৪ শতাংশ বেড়েছে।

কেবল দর বৃদ্ধি নয়, লেনদেনেও বেড়েছে আগ্রহ। আগের কর্মদিবসে এই খাতে লেনদেন হয়েছিল ১৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সেটি বেড়ে হয়েছে ৫৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

দুই ইস্যুতে চাঙা বস্ত্র খাত

দর সংশোধনে সবচেয়ে বেশি কোম্পানির দর কমেছিল এই খাতে। আবার ফারইস্ট নিটিং এর লভ্যাংশ ও সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল অধিগ্রহণের খবরে দামও সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এই খাতে।

বস্ত্র খাতের লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর কমেছে ৬টির। বেড়েছে ৫১টির। বাকি দুটি কোম্পানির শেয়ার দর ছিল আগের মতো।

সবচেয়ে বেশি ৩৪.৬৩ শতাংশ বেড়েছে ফারইস্ট নিটিংয়ের দর। এই কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৭৯ পয়সা আয় করে ১ টাকা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার শেয়ার মূল্য ছিল ১৭ টাকা ৯০ পয়সা। তা এক লাফে উঠে এসেছে ২৪ টাকা ১০ পয়সায়। এমনিতে কোনো শেয়ারের দর একদিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়ার সুযোগ থাকলেও লভ্যাংশ সংক্রান্ত বৈঠকের পরদিন কোনো মূল্যসীমা থাকে না।

সর্বোচ্চ মূল্যসীমা ছুঁয়েছে পাঁচটি কোম্পানির। এর মধ্যে তাল্লু স্পিনিং মিলসের দর ৯.৯০ শতাংশ, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলসের শেয়ার দর ৯.৮৯ শতাংশ, মেট্টোস্পিনিং মিলসের শেয়ার দর ৯.৮১ শতাংশ, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রির শেয়ার দর ৯.৭৪ শতাংশ, সিএনএ টেক্সটাইল মিলসের দর বেড়েছে ৯.০৮ শতাংশ।

এ ছাড়া পারামাউন্ট টেক্সটাইলের দর ৮.৫৯ শতাংশ, শাসা ডেনিমের দর ৫.৬৬ শতাংশ, নুরানী ডায়িংয়ের দর ৪.৫৯ শতাংশ বেড়েছে।

এই খাতেই লেনদেন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। হাতবদল হয়েছে মোট ২৮৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ২৮৬ কোটি ৪ লাখ টাকা।

বিমা খাতে নিস্তার নেই

দর সংশোধন কাটিয়ে বিভিন্ন খাত ঘুরে দাঁড়ালেও বিমা খাতে এখনও হতাশা। শেয়ার দর কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন দেখে আরও হতাশ হবেন এই খাতের শেয়ারধারীরা। মাস চারেক আগে দিনে সাতশ থেকে আটশ কোটি টাকা নিয়মিত লেনদেন হলেও এটি নেমেছে একশ কোটি টাকার নিচে।

লেনদেন হয়েছে কেবল ৬৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা আগের কর্মদিবসেও যা ছিল ৯৩ কোটি টাকা।

এই ছয় খাতের বিনিয়োগকারীদেরকে হতাশ করেছে রোববারের পুঁজিবাজার

এই খাতে ২২টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ২৭টি কোম্পানির শেয়ার দর। দুটি কোম্পানির দর ছিল অপরিবর্তিত।

সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৪.৭৮ শতাংশ। তারপরই আছে প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যার দর বেড়েছে ৪.৪৮ শতাংশ। পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৩.৮৭ শতাংশ।

এ খাতের সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স। শেয়ার দর কমেছে ৪.২৫ শতাংশ। দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ৩.৮৩ শতাংশ।

অন্যান্য খাতে লেনদেন

টানা কয়েকদিন লেনদেনে শীর্ষে থাকলেও ওষুধ ও রসায়ন খাত চলে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। এই খাতে হাতবদল হয়েছে মোট ২৫৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ৪৩৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ১৪টির দর। একটির লেনদেন স্থগিত বহু দিন ধরেই।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর ধরে রাখতে পেরেছে একটি। বেড়েছে আটটির দর, কমেছে ১৪টির। লেনদেন হয়েছে মোটি ২৫১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৩৮৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বৃদ্ধি ও হ্রাস পাওয়া কোম্পানির সংখ্যা সমান ২০টি করে। দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত। লেনদেন হয়েছে ১৯৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৩০১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে তুমুল আগ্রহ তৈরি করা সিমেন্ট খাতেও লেনদেন কমেছে। এই খাতের ৭টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ১৪৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। বেড়েছে দুটির দর, কমেছে ৫টির।

আগের কর্মদিবসে এই খাতে লেনদেন ছিল ২৫২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে বেড়েছে ১২টির দর, কমেছে ৯টির। লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১৩৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

বিবিধ খাতেও লেনদেন কমে গেছে। এই খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৮টির, কমেছে ৫টির। হাতবদল হয়েছে ৯৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ১১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪টির, কমেছে ৫টির। লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

সবচেয়ে কম লেনদেন হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে। এই খাতের ১১টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ৩৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, আগের কর্মদিবসে যা ছিল ৪৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

এই খাতে দাম বেড়েছে মোট ৬টির, কমেছে ৫টির দর।

সূচক ও লেনদেন

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৫ দশমিক ০৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৬৭ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট।

শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৯৬ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১ দশমিক ৬০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৬৫ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট।

দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর