মাদারীপুরের ঝাউদীতে যৌতুক না পাওয়ায় সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বার ওপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই নারীর স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।
ওই গৃহবধূকে শনিবার রাত ১০টার দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এসিড নিক্ষেপের বিষয়টি নিশ্চিত নয়।
ওই নারীর মা নিউজবাংলাকে জানান, গত জানুয়ারি মাসে মাদারীপুর সদরের ঝাউদী ইউনিয়নের মাদ্রা গ্রামের সোবাহান শেখের ছেলে সুমন শেখের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। তখন থেকেই যৌতুক চেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েকে নির্যাতন করতেন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর বাবার বাড়ি চলে যান ওই নারী। সেখানে গিয়েও যৌতুক চাইতেন তার স্বামী ও শ্বশুর।
মেয়ের মায়ের অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় মেয়ের জামাই সুমন ও সুমনের বাবা সোবাহান তাদের বাড়িতে যান। সেখানে ব্যক্তিগত কথা বলার জন্য মেয়েকে বাড়ির পেছনে ডেকে নিয়ে যান সুমন। কিছুক্ষণ পর মেয়ের চিৎকার শুনে গিয়ে দেখেন তার গায়ে তরল কোনো দ্রব্য ছুড়ে পালিয়ে গেছেন সুমন। তখনই মেয়ের শ্বশুর সোবাহানকে আটকে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুমনকেও আটক করে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান পাভেল বলেন, ‘এসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে সন্দেহে ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার পরিবার। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে এসিড বলে মনে হচ্ছে না।
‘ওই নারীর শরীরের কিছু অংশে হালকা দাগ দেখা গেছে। এসিড হলে সেখানে কালচে দাগ হয়ে ক্ষত সৃষ্টি হতো। আপাতত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে সুমন ও তার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় নেই। গৃহবধূর পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, ওই নারীর গায়ে এসিড ছোড়া হয়েছে কি না তা মেডিক্যাল রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।