বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সঞ্চয়পত্রের সুদ কমায় মানি ও ক্যাপিটাল মার্কেট উন্নত হবে’

  •    
  • ১০ অক্টোবর, ২০২১ ১০:৩৫

‘শুধু অবকাঠামো উন্নয়নেই নয়, দেশ যে আজ শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে। এর পেছনেও বড় অবদান রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের। এ পর্যন্ত ১৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থায়ন করেছে অগ্রণী ব্যাংক।’

সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোয় দেশের মানি মার্কেট ও ক্যাপিটাল মার্কেট দুটিই উন্নত হবে বলে মনে করেন রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম।

সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এটা একটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। করোনায় অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত খরচ হয়েছে। এ জন্য দেশের অর্থনীতিতে সাশ্রয় দরকার। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে মানি মার্কেট ও ক্যাপিটাল মার্কেট দুটিই উন্নত হবে। আমানতের একটি অংশ আসবে ব্যাংকে, আর একটি অংশ যাবে ক্যাপিটাল মার্কেটে। মানি মার্কেট ও ক্যাপিটাল চাঙা না হলে অর্থনীতিতে ভারসাম্য হয় না।’

ব্যাংক কমিশন গঠন করলেই ব্যাংকিং খাতের সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে, এমনটা মনে করেন না শামস্-উল ইসলাম।

মহামারি করোনাভাইরাসের ছোবলে বিশ্ব অর্থনীতির মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও গভীর সংকটে পড়ে গত বছরের শুরুর দিকে। দেড় বছরের বেশি সময়ের সেই ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে অর্থনীতি। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার ২৫টির মতো প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার।

এই প্রণোদনা ঋণের পুরোটাই বিতরণ করছে ব্যাংকগুলো, যার বেশির ভাগ ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়ে গেছে। গত বছর প্রণোদনা ছাড়া অন্য ঋণ খুব একটা বিতরণ করেনি ব্যাংকগুলো। তবে এখন মহামারির ধকল কমতে শুরু করেছে। স্বাভাবিক হয়ে আসছে সব কিছু। আমদানি-রপ্তানি বাড়ছে, ঋণ বিতরণও বাড়ছে।

বিশ্বব্যাংক-এডিবিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে উচ্চাশা প্রকাশ করেছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলছে, ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হবে। আর বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক আরেকটু বাড়িয়ে পূর্বাভাস দিয়ে বলেছে, ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে।

২০২২ সালে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল শুরু হবে; চলবে ট্রেনও। এটি চালু হলে বাংলাদেশের জিডিপিতে এক থেকে দেড় শতাংশ যোগ হবে বলে অর্থনীতির গবেষকরা আশা করছেন। দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো এই প্রকল্পের বিদেশি মুদ্রা জোগান দিচ্ছে অগ্রণী ব্যাংক।

এমন পরিস্থিতিতে ‘কেমন চলছে ব্যাংক খাত’ শিরোনামে নিউজবাংলা ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। সাক্ষাৎকারভিত্তিক এই প্রতিবেদনের পঞ্চম পর্বে দেশের ব্যাংকিং খাতের হালচাল নিয়ে কথা বলেছেন অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম।

করোনার সময়ে জরুরি সেবার আওতায় ব্যাংক খোলা রাখা হয়েছিল। সেই ব্যাংক খাতের অবস্থা এখন কেমন? কেমন চলছে ব্যবসা? বর্তমানে এ খাতের প্রধান চ্যালেঞ্জ কী দেখছেন?

করোনার মধ্যেও কিন্তু ব্যাংক খাতের কাজ থেমে থাকেনি। জনসাধারণকে সব সময়ই সেবা দিয়ে গেছেন ব্যাংক খাতের কর্মকর্তারা।

অনেকে বলে, ১০০ বছর পর পর এমন একটি মহামারি পৃথিবীতে আসে। এই মহামারি মোকাবিলায় আমাদের তো আগাম কোনো প্রস্তুতি ছিল না। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন দিকনির্দেশনার কারণে আমরা সফলতার সঙ্গে সেটা মোকাবিলা করতে পেরেছি।

করোনায় অগ্রণী ব্যাংকে এ পর্যন্ত একজন পরিচালকসহ ২১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী মৃত্যুবরণ করেছেন। এই মহামারি আরও বেশি হতে পারত, কিন্তু ‍আমাদের সচেতনতার কারণে সেটা হয়নি।

আর্থিক খাতের ক্ষতি মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যেটার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ব্যাংকের মাধ্যমেই চলমান। ফলে করোনার মধ্যেও ব্যাংক খাতের কাজ থেমে থাকেনি।

কটেজ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ঋণ বিতরণে (সিএসএমই) ১২টি ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে। সরকারি ব্যাংকের মধ্যে একমাত্র অগ্রণী ব্যাংক ১০৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশংসাপত্রও পাবে ব্যাংকটি।

শুধু বড় খাত বা শিল্পে নয়, সব খাতেই আমরা ঋণ বিতরণ করেছি। আমাদের প্রায় ১২ হাজার কর্মী নিরলসভাবে কাজ করেছেন। করোনার মধ্যেও অনলাইন মিটিংয়ের মাধ্যমে সব বিষয়ে খোঁজখবর রেখেছি। এটা সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণে। ওয়েবিনার করে আমরা বিভিন্ন তথ্য জানাতে সক্ষম হয়েছি।

ব্যাংক যে শুধু মুনাফা করবে সেটা নয়। সমাজের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতাও আছে। এ জন্য এই মহামারির মধ্যে একটি দিনের জন্যও ব্যাংক বন্ধ থাকেনি। এটা কিন্তু ‍আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। সীমিত লোকবল নিয়ে সব ধরনের কাজ করেছি। যার ফলে রেমিট্যান্স, রিজার্ভ, প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ সার্বিক অর্থনীতি ভালো অবস্থানে আছে।

প্রণোদনা ঋণ বিতরণে ১২টি ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। কিন্তু অভিযোগ আছে বড় বড় ব্যবসায়ীদেরই প্রণোদনার এই ঋণ দেয়া হচ্ছে, বঞ্চিত হচ্ছে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প। প্রকৃত চিত্র কী?

ক্ষুদ্র শিল্পে ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- এক বছরের জন্য কেউ ঋণ পাবে, সে ক্ষেত্রে জামানত দিতে হবে। নতুন করে যদি কেউ জামানত দেয়, সে ক্ষেত্রে মর্টগেজের জন্য সাব-রেজিস্ট্রি অফিস দরকার। কিন্তু করোনার মধ্যে তো প্রায় সব কিছু বন্ধ ছিল। কারও হয়তো জামানত নেই, সেটার কী হবে। এমন কিছু সমস্যা হয়েছিল। যে ব্যাংকগুলো পিছিয়ে আছে, সেসব ব্যাংক প্রথম দিকে এসব সমস্যা সমাধানে একটু সময় নিয়েছে।

অগ্রণী ব্যাংক বিকল্প ব্যবস্থা করেছে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিস বন্ধ থাকার সময় আমরা পুরাতন ঋণগ্রহীতার ক্ষেত্রে একটা ব্যবস্থা চালু করি। ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে ঋণগ্রহীতার আগে মর্টগেজ করা সম্পদ নতুন ঋণের ক্ষেত্রেও সংযুক্ত থাকবে- এ মর্মে লিখিত নেয়া হয়। এভাবে ঋণ দিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিয়ে এটা করেছি। ফলে সিএসএমই খাতে আমাদের ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার বেশি।

কিছুদিন আগে সঞ্চয়পত্রের সুদহার পুনর্নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদের হার দেড় থেকে দুই শতাংশ কমানো হয়েছে। কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এর প্রভাব কি ব্যাংক খাতে পড়বে? ব্যাংকে আমানত বাড়ার সম্ভাবনা কতটুকু?

ব্যাংকের প্রতি আস্থা মানুষের সব সময়ই বেশি। সঞ্চয়পত্রে সুদ হার কমে যাওয়াতে মানুষ আরও ব্যাংকমুখী হবে বলে আমি মনে করি।

দেরিতে হলেও সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো সরকারের একটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। করোনায় অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত খরচ হয়েছে। এ জন্য দেশের অর্থনীতিতে সাশ্রয় দরকার। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে মানি মার্কেট ও ক্যাপিটাল মার্কেট দুটিই উন্নত হবে। আমানতের একটি অংশ আসবে ব্যাংকে; আর একটি অংশ যাবে ক্যাপিটাল মার্কেটে। মানি ও ক্যাপিটাল মার্কেট দুটি চাঙা না হলে অর্থনীতিতে ভারসাম্য হয় না।

খেলাপি ঋণ দেশের ব্যাংক খাতের এখনও অন্যতম প্রধান সমস্যা। এ সংস্কৃতি থেকে বের হতে কী করা দরকার? সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক খেলাপিদের জন্য আবার ছাড় দিয়েছে। এককালীন টাকা পরিশোধ করে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন? এ সুবিধার ফলে খেলাপি ঋণ কি কমবে?

খেলাপি ঋণ একদম কমছে না, বিষয়টা তেমন নয়। এককালীন ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণ নিয়মিতকরণের সুযোগে লাখ-কোটি টাকার খেলাপি ঋণ কমে ৮৭ হাজার কোটিতে নেমে গিয়েছিল।

ব্যবসা সব সময় ভালো চলে না। ২০০৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশে আর্থিক খাতে সুনামি দেখা দেয়। ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কিন্তু তারা বেইল আউট করতে পারেনি। কারণ আমাদের দেশে বেইল আউটের তেমন সিস্টেম নেই।

করোনার মধ্যে ব্যবসায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে। অনেক ব্যবসা শেষ হয়ে গেছে। আবার অনকে ব্যবসা ভালো হয়েছে। ওষুধ কোম্পানির ব্যবসা, করোনা সম্পর্কিত ব্যবসাগুলো টিকে আছে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাই। এটা সময়ের দাবি ছিল।

ভালো ব্যবসায়ীরা এতে কিছুটা উপকৃত হবে। এতে করে খেলাপি ঋণ কমে আসবে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত্, খেলাপি, তাদের এ সুযোগে ঋণ নিয়মিতকরণ করা উচিত। এককালীন সুবিধা নিয়ে অনেকে ঋণ নিয়মিত করতে পারবে। সুবিধা না নিয়ে ইচ্ছাকৃত খেলাপি থাকলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে।

ব্যাংক খাতের সুশাসন নিশ্চিত করতে একাধিকবার ‘ব্যাংক কমিশন’ গঠনের আলোচনা হয়েছে, কমিশন গঠনের প্রয়োজন আছে বলে কি আপনি মনে করেন?

ব্যাংক কমিশন গঠনের বিষয়টি সরকারের নীতিনির্ধারকরা ভালো বুঝবেন। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, একটা কমিশন গঠন করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, বিষয়টি তেমন নয়। বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ আসবে। খেলাপি ঋণ আদায়ে যেমন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির বিষয় এসেছে।

কমিশন তো বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের লোকজনকে নিয়েই হবে। এটি গঠনের পরপরই রেডিক্যাল কোনো পরিবর্তন হবে না।

তবে প্রশাসন, নীতি-নৈতিকতা, শুদ্ধাচার, কমপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রে আমাদের দেশ আগের থেকে অনেক এগিয়ে গেছে। আগে নিয়ম-কানুন এত সুদৃঢ় ছিল না। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থায় আলাদা বিভাগ রয়েছে পরিদর্শনের জন্য। ফলে আমাদের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও জোরদার হয়েছে।

সরকারি ব্যাংকের বিরুদ্ধে ‘আমরা ঠিকমতো কাজ করি না, সেবা দেই না’ এসব অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য কৃষিতে ঋণ দেই আমরা; বিদুতের জন্য পাওয়ার প্লান্টে ঋণ দেই আমরা; নারীদের আর্থিক কাজে অন্তর্ভুক্ত করা- এসব সরকারি ব্যাংকের কারণে হয়েছে। আর্থিক উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত পরিবর্তনে সরকারি ব্যাংক সব সময়ই ভূমিকা রেখেছে। কারণ প্রান্তিক অঞ্চলে আমরা সেবা দিয়ে থাকি।

অনেক সমস্যাও রয়েছে আমাদের। খেলাপি ঋণ বেশি, মূলধন ঘাটতিও রয়েছে। এগুলো কাটিয়ে উঠতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

সার্বিকভাবে অগণী ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি এখন কেমন? সামনে গ্রাহকদের জন্য কী কী সেবা চালুর পরিকল্পনা আছে?

করোনার মধ্যেও গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান আস্থা ও সহযোগিতায় দেশের তৃতীয় ব্যাংক হিসেবে আমানতে লাখ কোটি টাকার মাইলফলক অতিক্রম করেছে অগ্রণী ব্যাংক; সোনালী ও ইসলামী ব্যাংকের পর এটা আমাদের জন্যও বড় অর্জন।

মহামারিকালেও অগ্রণী ব্যাংকে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স সংগ্রহে সক্ষম হয়েছে, যা দেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় রিজার্ভকে মজবুত করতে সহায়তা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্তের কারণে স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে। এই সেতু নির্মাণে বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারপ্রধানের পাশে দাঁড়িয়েছে অগ্রণী ব্যাংক।

পদ্মা সেতু নির্মাণে ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে ১৪০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ করেছে অগ্রণী ব্যাংক। সেতুর কাজ সম্পন্ন করতে মোট ২৪৩ কোটি ডলারের প্রয়োজন হচ্ছে। বাকি প্রায় ১০৩ কোটি ডলারও অগ্রণী ব্যাংক সরবরাহ করবে।

পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অগ্রণী ব্যাংকের একটি চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী অগ্রণী ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার নিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পে সরবরাহ করতে পারবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো ডলার নিতে হয়নি।

শুধু অবকাঠামো উন্নয়নেই নয়, দেশ যে আজ শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে এর পেছনেও বড় অবদান রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের। এ পর্যন্ত ১৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থায়ন করেছে অগ্রণী ব্যাংক।

এ বিভাগের আরো খবর