বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রকল্পের নেই খোঁজ, চেয়ারম্যানের ১৮ লাখ টাকা উত্তোলন

  •    
  • ১০ অক্টোবর, ২০২১ ০২:০২

অভিযোগ রয়েছে, পাঁচ দফায় এই টাকা উত্তোলনের ঘটনায় ইউএনও’র অফিস সহকারী আব্দুল বারির যোগসাজস রয়েছে। ভাগবাটোয়ার উদ্দেশ্যে সুযোগমতো বেয়ারার চেকগুলো উপস্থাপন করেই ইউএনও’র স্বাক্ষর নেন আব্দুল বারি।

প্রকল্প গ্রহণ না করেই গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ভূমি হস্তান্তর কর বরাদ্দের সাড়ে ১৮ লাখ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গত এক বছরে ইউএনও’র কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত ৫টি বেয়ারার চেকে এই টাকা তুলে নিয়েছেন সাদুল্লাপুরের দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এজেডএম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীন। তিনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী যুবলীগের সাদুল্লাপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক পদেও আছেন।

অভিযোগ উঠেছে, বরাদ্দের ওই টাকা ইউনিয়ন পরিষদের ক‌্যাশ বইয়ে তোলা কিংবা ব্যাংক হিসেবেও জমা করা হয়নি। এমনকি টাকার বিপরীতে মাঠ পর্যায়ে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ ছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের ভ্যাট ও আয়কর বরাদ্দের ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯২৩ টাকা নির্দেশনা থাকলেও সংশ্লিষ্ট হিসেবে জমা না দেয়ার অভিযোগ আছে চেয়ারম্যান স্বাধীনের বিরুদ্ধে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর এলজিএসপি-৩ এর উপপ্রকল্প পরিচালক রাহেনুল ইসলামের পরিদর্শন প্রতিবেদনেও এই তথ্য উল্লেখ করা হয়।

এতদিন ঘটনা ধামাচাপা থাকলেও গত ১৪ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রোখছানা বেগম ইউনিয়ন পরিদর্শনে গেলে এসব আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়ে।

এ নিয়ে রোকসানা বেগম গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইউপি চেয়ারম্যান এজেডএম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করে সাতদিনের মধ্যে জবাব দেয়ার নির্দেশ দেন।

অভিযোগ রয়েছে, পাঁচ দফায় এই টাকা উত্তোলনের ঘটনায় ইউএনও’র অফিস সহকারী আব্দুল বারির যোগসাজস রয়েছে। ভাগবাটোয়ার উদ্দেশ্যে সুযোগমতো বেয়ারার চেকগুলো উপস্থাপন করেই ইউএনও’র স্বাক্ষর নেন আব্দুল বারি। অথচ নিয়ম অনুযায়ী পরিষদের সচিব ও চেয়ারম্যানসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের নামে এ‌্যাকাউন্ট পে চেক প্রদানে এই টাকা উত্তোলনের কথা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩ নং দামোদরপুর ইউনিয়নে ভূমি হন্তান্তর কর (১%) বরাদ্দের মোট ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার অনুকূলে ৫টি বেয়ারার চেক ইন্স্যু করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে। এর মধ‌্যে ২০২০ সালের ২৬ আগষ্ট ৩ লাখ, ৪ অক্টোবর ৩ লাখ ৫০ হাজার ও ২২ ডিসেম্বর ৪ লাখ টাকার তিনটি বেয়ারার চেক দেয়া হয়।

এ ছাড়া চলতি বছরের ৫ মে ৪ লাখ ও ৫ জুলাই দেয়া হয় আরও ৪ লাখ টাকার দুটি বেয়ারার চেক ইস্যু হয়। চেক প্রাপ্তির তারিখেই সোনালী ব‌্যাংক সাদুল্লাপুর শাখায় অন‌্য গ্রাহকের হিসাব নম্বরে চেয়ারম‌্যান স্বাধীন চেকগুলো জমা করে এসব টাকা তুলে নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে, এলাকার উন্নয়নে বরাদ্দের টাকা গোপনে তুলে নেওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে পরিষদের মেম্বারসহ সংশ্লিষ্টদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে গাইবান্ধার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রোখছানা বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনকালে নথিপত্র যাচাই করে যেসব তথ‌্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে তা যথাযথ ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান এজেডএম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীনের মুঠফোনে কল দিলে তিনি পরে কথা বলবেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন।

এ বিভাগের আরো খবর