বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২০-দলীয় জোটে আসলে কয় দল, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

  •    
  • ৯ অক্টোবর, ২০২১ ২০:০৪

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে যে তারা ২০-দলীয় জোটের কথা বলছে, সেই জোট তো আর নাই। সেখান থেকে তো অনেকেই পালিয়ে গেছেন। ২০-দলীয় জোট যে আসলে কত দলীয় জোট, সেটি এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়।’

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটে প্রকৃতপক্ষে কতগুলো দল আছে, তা জানতে চেয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

শনিবার বিকেলে নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি ২০-দলীয় জোটের দলের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যে তারা ২০-দলীয় জোটের কথা বলছে, সেই জোট তো আর নাই। সেখান থেকে তো অনেকেই পালিয়ে গেছেন। ২০-দলীয় জোট যে আসলে কত দলীয় জোট, সেটি এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়।’

সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে সমমনা বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নিয়ে ২০-দলীয় জোট গঠন করে বিএনপি। শুরুতে জোটে ২০টি রাজনৈতিক দল থাকলেও বিভিন্ন সময়ে শরিকদের অনেকেই জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন।

সবশেষ গত ১ অক্টোবর ২০-দলীয় জোট থেকে বের হয়ে যায় কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল খেলাফত মজলিস। এর আগে আরও চারটি দল এই জোট ছেড়ে যায়।

পঞ্চম দল হিসেবে গত ১০ সেপ্টেম্বর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট ছেড়ে দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বাধীন কল্যাণ পার্টি। ছবি: নিউজবাংলা

জোটে প্রথম ভাঙন শুরু হয় ২০১৬ সালে। ওই বছরের ৭ জুন জোট ছেড়ে যায় মুফতি ফজলুল হক আমিনীর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী ঐক্যজোট।

২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর ২০-দলীয় জোট ছেড়ে যায় লেবার পার্টি।

২০১৯ সালের ৬ মে এই জোট ছাড়েন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির আন্দালিব রহমান পার্থ এবং এ বছরের ১৪ জুলাই জোট ছেড়ে যায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম।

জোটের আরেক শরিক কল্যাণ পার্টিও এরই মধ্যে ২০ দল ছেড়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপিকে।

ব্রিফিংয়ে বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আন্দোলনের হুমকির বিষয়েও প্রতিক্রিয়া জানান ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি

তিনি বলেন, ‘খন্দকার মোশাররফ সাহেব বা অন্য নেতারা যে বলছেন, সব দলকে ঐক্যবদ্ধ করে সরকার পতনের আন্দোলন করবেন। আসলে যে ঐক্যটা ছিল তাদের মধ্যে সেটা তো এখন ভেঙে গেছে। আর বিএনপি অতীতেও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে নির্বাচন বর্জনের কথা বলেছিল, তারপরেও তারা অংশ নিয়েছে।

‘নির্বাচন বর্জন তারাই করে যেসব দলের কোনো জনভিত্তি নেই। বিএনপিকে যদি জনমুখী রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকিয়ে রাখতে হয়, তাহলে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কোনো বিকল্প নেই। আমি আশা করব, তারা অতীতের মতো আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন বর্জন করতে যাবেন না।’

এ বিভাগের আরো খবর