দেশে এবার বাড়ছে পূজামণ্ডপের সংখ্যা। আগের বছরের তুলনায় দুর্গাপূজার আয়োজন হবে প্রায় ২ হাজারের বেশি মণ্ডপে। তবে সবাইকেই মানতে হবে করোনা সতর্কতাসহ স্বাস্থ্যবিধি।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শনিবার এ তথ্য জানায়।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু ১১ অক্টোবর। ষষ্ঠীতে দেবী বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে উৎসব। তবে এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে পূজার আমেজ। চলছে এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মণ্ডপ আর প্রতিমা সাজাতে ব্যস্ত আয়োজকরা। গত বছর করোনা মহামারির মাঝে বিবর্ণ ছিল দুর্গোৎসব। এবার করোনার প্রকোপ কমায় অনেকটাই প্রাণখোলা উৎসবে পূজিত হবেন দেবীদুর্গা। ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
সারা দেশে গত বছর করোনা সংক্রমণের কারণে দুর্গাপূজার সংখ্যা কমে গেলেও এবার প্রায় ২ হাজার মণ্ডপ বাড়ছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুলিশের তথ্যমতে, এবার পূজা হবে ৩১ হাজারের অধিক মণ্ডপে। কিন্তু তাদের হিসাব প্রথমিক পর্যায়ে যখন প্রতিমা তৈরি শুরু হয় তখনকার। অনেকে শেষের দিকে প্রতিমা করেন বা কিনে আনেন। আমরা শেষের দিকে হিসাব করি।
‘দেশে এবার প্রায় ২ হাজার মণ্ডপ বেশি হচ্ছে। গত বছর করোনার কারণে মণ্ডপের সংখ্যা কম ছিল। ৩০ হাজার ২৩১টি মণ্ডপে পূজা হয়েছিল। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ১৩৬টি। ঢাকায় ২৩৮টি মণ্ডপে পূজা হবে, আগের বছর তা ছিল ২৩৩টি।’
নির্মল কুমার বলেন, ‘এবারের বিজয় দশমী পড়েছে শুক্রবার। সেদিন মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জুমার নামাজ আদায়ের একটা বিষয় আছে। তাই আমরা জানিয়ে দিয়েছি, নামাজের সময়ে কোনও প্রতিমা বিসর্জন হবে না।’
করোনা সতর্কতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এবার আলোকসজ্জা, মেলা ও আরতি প্রতিযোগিতা হবে না। কারণ করোনা অতিমারি পুরোপুরি যায়নি। সরকারের যেসব নির্দেশনা আছে, সেগুলো মেনেই পূজামণ্ডপে ঢুকতে হবে। মাস্ক ছাড়া কাউকেই মন্দিরে ঢুকতে দেয়া হবে না। যাদের সামর্থ্য আছে তারা স্যানিটাইজার রাখবেন।’
ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সদস্য রজত কুমার সুর বলেন, ‘এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা মহানগরীতে মোট ২৩৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। এর মধ্যে সূত্রাপুর থানায় সবচেয়ে বেশি ২৫টি মণ্ডপ থাকছে। কোতোয়ালি থানায় ২১টি, ওয়ারীতে ১৬, গেন্ডারিয়ায় ১৪, হাজারীবাগে ১৩, তুরাগে ১২, বাড্ডায় ১০, বনানী ও মোহাম্মদপুরে ৯, দারুস সালাম ও ডেমরায় অন্তত ৮টি মণ্ডপ থাকছে।’
তিনি বলেন, ‘পূজার আগে প্রস্তুতির জন্য আমরা বেশি সময় পাইনি। তবু সুশৃঙ্খলভাবে যেন পূজা উদযাপন করতে পারি, এ জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’