বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মী সোয়া ৯ কেজি সোনাসহ আটক

  •    
  • ৯ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:১০

বিমানবন্দরে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সিভিল এভিয়েশন অথরিটির নিরাপত্তাকর্মী বেলাল উদ্দিন সন্দেহজনকভাবে দৌড় দেন। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাকে তাড়া করে ধরে ফেলেন। তার শরীর তল্লাশি করে কোমরে বেল্টের নিচ থেকে তিনটি প্যাকেটে ৮০টি সোনার বার পাওয়া যায়। যেগুলোর ওজন ৯ দশমিক ২৮ কেজি।

চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৯ দশমিক ২৮ কিলোগ্রাম সোনা চোরাচালানের সময় বেলাল উদ্দিন নামে সিভিল এভিয়েশনের সহকারী নিরাপত্তাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে তাকে আটক করেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

কাকরাইলে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে বেলা আড়াইটায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক আব্দুর রউফ।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানতে পারে, শনিবার সকালে দুবাই থেকে চট্টগ্রামগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট নম্বর বিজি-১৪৮-এর মাধ্যমে সোনা চোরাচালান আসতে পারে।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সতর্কতামূলক অবস্থান নেন। দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট নম্বর বিজি-১৪৮ আনুমানিক সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে আনুমানিক ৯টা ১০ মিনিটে মাসকট থেকে আসা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট এবং সাড়ে ৮টায় মাসকট থেকে আসা ওমান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট বিমানবন্দরে আসে। ইতোমধ্যে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থান নেন।

গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সিভিল এভিয়েশন অথরিটির একজন নিরাপত্তাকর্মী বেলাল উদ্দিন অ্যাপ্রোন এলাকায় সন্দেহজনকভাবে দৌড় দেন। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাকে তাড়া করে ধরে ফেলেন।

সংস্থাটির মহাপরিচালক আব্দুর রউফ বলেন, ধরা পড়ার পরও তিনি জোরজবরদস্তি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

এ সময় উপস্থিত এনএসআই কর্মকর্তাদের সহায়তায় বিমানবন্দরের অন্যান্য সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে তার শরীর তল্লাশি করে কোমরে বেল্টের নিচ থেকে তিনটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। তিনটি প্যাকেটে মোট ৮০টি সোনার বার পাওয়া যায়, যার মোট ওজন ৯ দশমিক ২৮ কেজি। বর্তমান এর বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেলাল উদ্দিন জানান, প্যাকেটগুলো টয়লেটে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। সেখান থেকে তিনি নিয়ে আসেন।

সোনার বারগুলো অবৈধভাবে সরকারি শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে দেশে আনা হয়েছে, যা বিমানবন্দর সীমানার বাইরে পাচার করা হচ্ছিল।

আটকের বিষয়ে একটি বিভাগীয় মামলা এবং একটি ফৌজদারি মামলা প্রক্রিয়াধীন।

চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত ৫৪ দশমিক ১১ কেজি সোনা জব্দ করেছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৩৮ কোটি টাকা।

বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৭৪ দশমিক ৪৯ কেজি এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৮০ দশমিক ৩৫ কেজি সোনার বার কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জব্দ করে।

চলতি বছরের ৬ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট নম্বর বিজি-৪০৪৮-এর টয়লেট থেকে ১২০টি সোনার বার জব্দ করা হয়, যার ওজন প্রায় ১৪ কেজি।

এ বিভাগের আরো খবর