জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সব ইনস্টিটিউট ও বিভাগে চলছে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। সেশনজট কমাতে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে ছুটির দিন শনিবারেও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউট শনিবার সকাল ও বিকেলে নিয়েছে শিক্ষার্থীদের সশরীরে পরীক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ পরীক্ষার হলগুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে শনিবার নির্ধারিত সময়েই ক্যাম্পাসে ঢুকেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো। তবে কিছু শিক্ষার্থী বাস ধরতে না পেরে দেরিতে পরীক্ষার হলে ঢোকেন। সে জন্য শিক্ষার্থীরা দাবি করলেও বাড়ানো হয়নি পরীক্ষার সময়।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ কে এম আক্তারুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার ছাড়া প্রায় প্রতিদিন পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। দ্রুত পরীক্ষা নেয়ার জন্য ডিনরা আলাপ করে রুটিন করেছেন। এভাবে পরীক্ষা দিতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরাও।’
করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখরিত এখন জবি ক্যাম্পাস। পরীক্ষার পরে ছাত্রছাত্রীদের আড্ডাও চলছে বিভিন্ন স্থানে।
রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আজমেরি সুলতানা বলেন, ‘আমরা অনেকটা সময় পরীক্ষার বাইরে ছিলাম। যদিও অনলাইনে ক্লাস হয়েছে, কিন্তু তাতে পরের বর্ষে উঠতে পারছিলাম না। ভবিষ্যতের চিন্তায় দ্রুত পরীক্ষা শেষ করতে চাই আমরা।’
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান বলেন, ‘ভর্তির এক বছর পরই করোনার জন্য বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়। দেড় বছর প্রতীক্ষার পর পরীক্ষার মাধ্যমে আবার ক্যাম্পাসে ফিরতে পেরে আমরা খুশি।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহানা রূপা বলেন, ‘অনেক দিন পর ক্যাম্পাসে ফিরতে পেরে খুব ভালো লাগছে। শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলে আমরা তৃতীয় বর্ষের একেবারে শেষ দিকে থাকতাম। এখন দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা দিচ্ছি।’
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. চঞ্চল কুমার বোস বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিচ্ছে, এটা অনেক বড় ব্যাপার। এভাবে পরীক্ষা চলুক, তারপর আমরা সেজনজট কমানোর নতুন পরিকল্পনা নেব।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে শিক্ষার্থীদের সশরীরে পরীক্ষা শুরু হয়। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৫৬৮ দিন পর প্রাণ ফিরে পায় জবি ক্যাম্পাস।
শনিবার ৯ টি বিভাগে মোট ২০ টি সেমিস্টারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ১০ অক্টোবর রবিবার ১৯ টি বিভাগে মোট ৩০ টি সেমিস্টারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ. কে. এম. আক্তারুজ্জামান।