বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল ভাই-বোনের

  •    
  • ৯ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:০১

স্থানীয়রা জানান, বেলা ১১টার দিকে জসিম বাড়ির পাশে পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরতে যান। রিয়ানা ও জাহিদুলসহ পাশের বাড়ির শিশুরা তার সঙ্গে গিয়েছিল মাছ কুড়াতে। মাছ ধরা শেষে জসিমের সঙ্গে অন্য শিশুরা বাড়ি ফিরলেও রিয়ানা ও জাহিদুল পুকুর পাড়েই থেকে যায়।

ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ ইলিশা ইউনিয়নে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার লুমিয়ার হাট গ্রামে শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

পানিতে ডুবে মৃত দুই শিশু হলো ওই গ্রামের মো. খোকন মাঝির ছয় বছরের রিয়ানা ও জসিম মাঝির চার বছরের জাহিদুল। শিশু দুটি সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন।

স্থানীয়রা জানান, বেলা ১১টার দিকে জসিম বাড়ির পাশে পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরতে যান। রিয়ানা ও জাহিদুলসহ পাশের বাড়ির শিশুরা তার সঙ্গে গিয়েছিল মাছ কুড়াতে। মাছ ধরা শেষে জসিমের সঙ্গে অন্য শিশুরা বাড়ি ফিরলেও রিয়ানা ও জাহিদুল পুকুর পাড়েই থেকে যায়।

তারা আরও জানান, ঘণ্টাখানেক পর দুই শিশুকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। ওই সময় তাদের পুকুরে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ভোলা সদর হাসপাতালে আরএমও ডা. নিরুপম সরকার জানান, দুপুর ১২টার দিকে দুই শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, দ্বীপ জেলা হওয়ায় ভোলার চারপাশে নদী ও জেলা শহরের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে পুকুর ও ডোবা রয়েছে। সম্প্রতি পরিবারের সচেতনতার অভাবে জেলার সাত উপজেলায় পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দক্ষিণ ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফকরুল আলম বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি শিশুকে সাঁতার শেখানো বাধ্যতামূলক করা উচিত। পরিবারের সকলকে সচেতন করতে বিভিন্ন উদ্যোগও নিতে হবে। তবেই এই পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যুর হার কমবে।’

ইলিশা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আনিসুর রহমান জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশু দুটির মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর