বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পূর্বাঞ্চল রেলপথ অচল করে দেয়ার হুমকি

  •    
  • ৯ অক্টোবর, ২০২১ ১৬:২৭

আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু বলেন, ৭ মাসেরও বেশি সময় ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনটি কার্যত অচল হয়ে আছে। ট্রেন না থামার কারণে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সিগনালিং সিস্টেম ধ্বংসের দোহাই দিয়ে ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে কষ্ট দেয়া হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে সব আন্তঃনগর, মেইল ও কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতি ফের শুরুর দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে জেলা নাগরিক ফোরাম।

শনিবার বেলা ১১টায় সংগঠনটির উদ্যোগে রেলওয়ে স্টেশনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে রেল স্টেশনে সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করা না হলে পূর্বাঞ্চল রেলপথ অচল করে দেয়ার হুমিক দেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরোধীতা করে গত মার্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনার পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে আন্তঃনগর, মেইল ও কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতি অনর্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে রেল কর্তৃপক্ষ।

জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্যের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক আব্দুন নূর, জেলা জাসদের সভাপতি আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা নাগরিক ফোরামের নাগরিক ফোরামের দেওয়ান মারুফ, সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্তসহ আরও অনেকে।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পরিচালনা করেন সাংবাদিক ও সংগঠক হাবিবুর রহমান পারভেজ।

আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু বলেন, ‘৭ মাসেরও বেশি সময় ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনটি কার্যত অচল হয়ে আছে। ট্রেন না থামার কারণে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সিগনালিং সিস্টেম ধ্বংসের দোহাই দিয়ে ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে কষ্ট দেয়া হচ্ছে। এটি কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে যদি সব আন্তঃনগর, মেইল ও কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করা না হয় তাহলে অবরোধ করে পূর্বাঞ্চল রেলপথ অচল করে দেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর