মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে কানাই সাহার পাঁচ সদস্যের পরিবার। দুই সন্তানই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। সেই সঙ্গে আরও কিছু শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আছে তাদের।
সবজি বিক্রি করে কোনোমতে সংসার চালান কানাই। মাথা গোঁজার মাটির বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বসবাসের একেবারেই অনুপযোগী। আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে সেই জীর্ণ ঘরেই কাটছিল জীবন।
তার এই দুরবস্থা নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেখে বাড়ি করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন পিপিএস প্লাস্টিক পাইপ ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাইলা সাবরিন।
প্রায় এক বছর আগে দেয়া কথা রেখেছেন শাইলা।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌর এলাকার কাঁটাবাড়ী গ্রামের কানাইকে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে টিনশেড পাকা বাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে।
শাইলা জানান, ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর স্থানীয় সাংবাদিক মেহেদী হাসান কানাই সাহার পরিবার নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। সেটি তার নজরে এলে পরিবারটির সঙ্গে দেখা করে ১ লাখ টাকা দেন। সেই সঙ্গে নিজ খরচে একটি বাড়ি করে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় অসহায়, দরিদ্র, অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়াই। কারো কষ্ট দেখলে চেষ্টা করি সাহায্য করতে। সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আমার আহ্বান, তারাও যেন অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ান।’
পাকা বাড়ি পেয়ে কানাই নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাড়ি পেয়েই আমি অনেক খুশি। আর এভাবে অনুষ্ঠান করে আমাকে এত সম্মান দিয়ে বাড়ির চাবি তুলে দেয়ায় আরও খুশি।’
বাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিয়াজ হোসেন, ফুলবাড়ী পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ সামিউল ইসলাম সোহেল, পিপিএস প্লাস্টিক পাইপ ইন্ডাস্ট্রিজের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মাজেদ জাহাঙ্গীর আলম।
ইউএনও রিয়াজ হোসেন বলেন, ‘কানাই যদি চান তাহলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে বাজারে স্থায়ীভাবে সবজি ব্যবসার জন্য সব রকমের সহযোগিতা করা হবে।’