রাজধানীর গাবতলীতে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজন হয়েছে।
গাবতলীর তুরাগ নদ থেকে শনিবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে ও এর আগে পৌনে চারটার দিকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
এখন পর্যন্ত চার শিশু ও এক নারীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা মো. রায়হান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় শনিবার সকাল ৭টার দিকে ডুবে যায় ট্রলারটি।
এতে নিখোঁজ হন রুপায়ন বেগম ও তার চার বছরের ছেলে আরমান, ১৫ মাসের জেসমিন, ৩০ বছরের শায়লা বিবি, দুই বছরের রিপন, আট বছরের আরমিনা এবং পাঁচ বছরের ফারহান মনি। তাদের মধ্যে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সবুর খান বলেন, ‘ট্রলারডুবির ঘটনায় এক নারী ও চার শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি। মরদেহগুলো নৌপুলিশের হেফাজতে আছে। এ ঘটনায় নৌপুলিশ তদন্ত করবে।’
মরদেহ উদ্ধারের পর স্বজনদের আহাজারি। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
সাভার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান মাহফুজ নিউজবাংলাকে জানান, সকালে একটি ট্রলারে ১৮ জন তুরাগ নদের উত্তর পাশে আমিনবাজার থেকে গাবতলী ল্যান্ডিং স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ওই নারীরা মূলত ল্যান্ডিং স্টেশনের পাশে কয়লার ডিপোতে কাজ করতেন। কাজের সময় তারা সন্তানদের পাশে বসিয়ে রাখতেন।
তুরাগ নদ পারাপারের সময় একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় এক নারী ও ছয় শিশু তলিয়ে যায়। অন্যরা সাঁতরে নদের তীরে উঠে আসেন।
ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ঘটনার পরপরই তাদের একটি ইউনিট উদ্ধারকাজ শুরু করে। পরে রাজধানীর সদর দপ্তর থেকে আরও তিনটি ইউনিট উদ্ধারকাজে যোগ দেয়।