রাজধানীর গাবতলীতে একটি যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় দুই শিশু ও এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
গাবতলীর তুরাগ নদ থেকে শনিবার দুপুর ১টার দিকে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে সকাল ৭টার দিকে একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায় ট্রলারটি।
এ ঘটনায় নিখোঁজ হন রুপায়ন বেগম ও তার চার বছরের ছেলে আরমান, ১৫ মাসের জেসমিন, ৩০ বছরের শায়লা বিবি, দুই বছরের রিপন, আট বছরের আরমিনা এবং পাঁচ বছরের ফারহান মনি। এদের মধ্যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া বিভাগের কর্মকর্তা মো. রায়হান নিউজবাংলাকে এ তথ নিশ্চিত করেছেন।
আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সবুর খান বলেন, ‘ট্রলারডুবির ঘটনায় এক নারী ও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। মরদেহ তিনটি নৌপুলিশের হেফাজতেই আছে। এ ঘটনা তদন্তও করবে নৌপুলিশ।’
সাভার ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান মাহফুজ।
তিনি জানান, ওই ট্রলারটিতে যাত্রী ছিলেন ১৮ জন। এদের মধ্যে ১১ জন সাঁতরে তুরাগ নদের তীরে উঠেন।
সাভার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মাহফুজুর নিউজবাংলাকে জানান, সকালে একটি ট্রলারে তুরাগ নদের উত্তরপাশে আমিনবাজার থেকে গাবতলী ল্যান্ডিং স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন ১৮ জন শ্রমিক। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ওই নারীরা মূলত ল্যান্ডিং স্টেশনের পাশে কয়লার ডিপোতে কাজ করতেন। কাজের সময় ওই সন্তানদের পাশে বসিয়ে রাখতেন তারা।
তুরাগ নদ পারাপারের সময় হঠাৎ একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় এক নারী ও ছয় শিশু তলিয়ে যায়। অন্যরা সাঁতরে নদের তীরে উঠে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ঘটনার পরপরই তাদের একটি ইউনিট উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে রাজধানীর সদর দপ্তর থেকে আরও তিনটি ইউনিট উদ্ধারকাজে যোগ দেয়।