রাজধানীর গাবতলীতে একটি যাত্রীবাহী ট্রলারের সঙ্গে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে গেছে ট্রলারটি। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন ট্রলারের নারী ও শিশুসহ সাত যাত্রী।
শনিবার সকালে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজরা হলেন রুপায়ন বেগম ও তার চার বছরের ছেলে আরমান, ১৫ মাসের জেসমিন, ৩০ বছরের শায়লা বিবি, দুই বছরের রিপন, আট বছরের আরমিনা এবং পাঁচ বছরের ফারহান মনি।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান মাহফুজ।
তিনি জানান, ওই ট্রলারটিতে যাত্রী ছিলেন ১৮ জন। এদের মধ্যে ১১ জন সাঁতরে তুরাগ নদের তীরে উঠেন।
সাভার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মাহফুজুর নিউজবাংলাকে জানান, সকালে একটি ট্রলারে তুরাগ নদের উত্তরপাশে আমিনবাজার থেকে গাবতলী ল্যান্ডিং স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন ১৮ জন শ্রমিক। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ওই নারীরা মূলত ল্যান্ডিং স্টেশনের পাশে কয়লার ডিপোতে কাজ করতেন। কাজের সময় ওই সন্তানদের পাশে বসিয়ে রাখতেন তারা।
তুরাগ নদ পারাপারের সময় হঠাৎ একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় এক নারী ও ছয় শিশু তলিয়ে যায়। অন্যরা সাঁতরে নদের তীরে উঠে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ঘটনার পরপরই তাদের একটি ইউনিট উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে রাজধানীর সদর দপ্তর থেকে আরও তিনটি ইউনিট উদ্ধারকাজে যোগ দেয়। কিন্তু এখনও নিখোঁজ নারী ও শিশুদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আমিনবাজার নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর শেখ জানান, বালুবাহী বাল্কহেডটি আটক করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায় এটি।