লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এক কৃষক হত্যার ১১ দিন পর এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তি সম্পর্কে নিহত ব্যক্তির ভাতিজা।
উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের ২ নম্বর দোয়ানী গ্রাম থেকে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা করে নিহত ব্যক্তির বাবা। ওই মামলায় আটক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সোহেল রানা। তার বাড়ি দোয়ানী গ্রামেই।
নিহত কৃষকের নাম আব্দুল মালেক। তার ছোট ভাই আব্দুল খালেকের ছেলে আসামি সোহেল।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম।
পুলিশ জানায়, ২৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির সামনে আব্দুল মালেককে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে শুক্রবার রাতে সোহেলকে আটক করে পুলিশ।
ওসি এরশাদুল আলম জানান, সোহেলকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আব্দুল মালেককে হত্যার কথা শিকার করেন তিনি। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে জানান সোহেল। তার দেয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও অন্যান্য সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, শুক্রবার রাতে আব্দুল মালেকের বাবা বারেক আলী সোহেলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় মামলা করেছেন। পরে ওই মামলায় সোহেলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
শনিবার দুপুরে সোহেলকে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।