বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষার্থীদের চুল কর্তন: সেই মাদ্রাসাশিক্ষক আটক

  •    
  • ৮ অক্টোবর, ২০২১ ২২:০৮

রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল জানান, ছয় ছাত্রের চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় মাদ্রাসাশিক্ষক মঞ্জুরকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার হামছাদী কাজির দিঘিরপাড় আলিম মাদ্রাসার ছয় শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ার অভিযোগে শিক্ষক মঞ্জুরুল কবিরকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে কাজির দিঘিরপাড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল।

ওসি জানান, ছয় ছাত্রের চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

গত বুধবার দশম শ্রেণির ক্লাস চলার সময় শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ওই শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেন শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির। শুক্রবার চুল কাটার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।

মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজমুল আলম ও ফজলে রাব্বীসহ কয়েকজন নিউজবাংলাকে জানিয়েছিল, বুধবার তাদের ইংরেজি ক্লাস চলার সময় কাঁচি নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়েন শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির। পরে তিনি তাদের ছয়জনের চুল কেটে দেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ছাত্র বলে, ‘ইংরেজি ক্লাসের প্রথম ঘণ্টা পড়ার পর হঠাৎ করে মঞ্জুরুল স্যার আমাদের ক-শাখার ক্লাসে ঢুকে ৬ ছাত্রের চুল কেটে দেন। তবে খ-শাখার কোনো ছাত্রের চুল উনি কাটেননি।

‘আমি মাথা বেল করে চার দিন মাদ্রাসায় যাইনি। পরে স্যার দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দিলে মাদ্রাসায় যাই।’

শিক্ষক মঞ্জুরুল কবিরও শিক্ষার্থীদের চুল কাটার বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে তার দাবি, তিনি দাখিল শ্রেণির সব ছাত্রকে আগের দিন চুল কেটে মাদ্রাসায় যেতে বলেছিলেন। তবে ছাত্ররা তার কথা না মানায় কয়েকজনের চুল কেটে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি ওদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে থাকা এবং নীতিনৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার জন্যই চুল কেটে দিয়েছি। তবে আমি কাউকে কোনো হুমকি দিইনি।’

বামনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাফাজ্জল হোসেন মুন্সী বলেন, ‘শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির হওয়ায় প্রায় সময় ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেন। তার ভয়ে ছাত্র তো দূরের কথা, অন্য শিক্ষকরাও নিরুপায় বলে আমি জানি।’

এ ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ছাড় দেয়া হবে না।’

জেলা প্রশাসকের এ কথা বলার কয়েক ঘণ্টা পরই পুলিশ শিক্ষক মঞ্জুরকে আটক করল।

এ বিভাগের আরো খবর