রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে ছুরিকাঘাতে সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কেশব রায় পাপনের হত্যা মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার দুই আসামি।
এ সময় তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে আদালতের একটি সূত্র।
এ ছাড়া ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত তুহিনের দুই দিনের রিমান্ড এবং অপর এক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
শুক্রবার ঢাকার মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালত জবনাবন্দি রেকর্ড, রিমান্ড মঞ্জুর এবং কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. গোলাম সারোয়ার চার আসামিকে আদালতে হাজির করেন।
মো. জুয়েল, জাহাঙ্গীর ও নুরুজ্জামান মামুনের জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তুহিনের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা জানিয়েছে, জাহাঙ্গীর ও নুরুজ্জামান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে জুয়েল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। পরে তুহিনের দুই দিনের রিমান্ড দেয় আদালত।
এর আগে এই চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
৫ অক্টোবর রাজধানীর তেজতুরী বাজারের হোটেল মেরিনের সামনে রাত ৯টার দিকে কয়েকজন অস্ত্রধারী ছিনতাইকারীরা কেশব রায় পাপনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা পাপনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন ভিকটিমের মামা সন্তোষ কুমার মণ্ডল।