বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হত্যার আসামিরা জামিনে, বাদীকে ‘হুমকি’

  •    
  • ৮ অক্টোবর, ২০২১ ২১:১৫

হত্যার শিকার খায়েরের বাবা সুলতান আহমেদ বলেন, ‘খায়ের হত্যার হোতা সুন্দর আলীসহ আসামিরা জামিনে বের হয়ে আমাদের পরিবারে হামলা চালান। এ সময় আসামিরা মামলা তুলে নিতে চাপ দেন। মামলা তুলে না নিলে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও হত্যার হুমকি দিয়ে যান।’

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে খায়ের হত্যা মামলার আসামিরা কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে বাদীর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বাদীর পরিবারের নিরাপত্তা ও খায়ের হত্যার বিচার চেয়ে উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের মানুষ মানববন্ধন করেছেন।

শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বাগড়া-কুমিল্লা সড়কের কালিকাপুর বাজার ও আব্দুল মতিন খসরু সরকারি কলেজের সামনে মানববন্ধনে কয়েক শ নারী-পুরুষ অংশ নেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন খায়েরের বাবা সুলতান আহমেদ, মা রোকেয়া বেগম, ভাই রুবেল, বোন হাসনেহারা আক্তার আরজু, ভাই পারভেজ বাবু, মামলার সাক্ষী জেসমিন আক্তারসহ অনেকে।

সুলতান আহমেদ বলেন, ‘খায়ের হত্যার হোতা সুন্দর আলীসহ আসামিরা জামিনে বের হয়ে আমাদের পরিবারে হামলা চালান। এ সময় আসামিরা মামলা তুলে নিতে চাপ দেন। মামলা তুলে না নিলে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও হত্যার হুমকি দিয়ে যান।’

মানববন্ধনে বক্তারা খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলেন, হত্যাকারীরা যেন কোনোভাবেই আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে না যায়।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য লিটন রেজা, আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম মাস্টার, সাবেক ইউপি সদস্য রফিজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা খাইরুল বাশার তোতা মিয়া, প্রভাষক মাহবুব আলমসহ অনেকে।২০১৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আনন্দপুর গ্রামে মসজিদসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সুলতান আহমেদ, তার ছেলে আবুল খায়ের ও রুবেলের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। এ সময় গুরুতর আহত হন খায়ের ও রুবেল। ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে একটি হাসপাতালে আট দিন পর মারা যান খায়ের।

এ ঘটনায় খায়েরের বাবা বুড়িচং থানায় ১৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

মামলায় বলা হয়, পরিকল্পিতভাবে সুন্দর আলী ও তার বাহিনীর কবির হোসেন, জুয়েল, জসিম, রবিউল, আলমগীর, ফরিদ মিয়া, জাকির হোসেন ও ইসরাফিল ওই রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আবুল খায়েরকে হত্যা করেন।

মামলার সাত মাস পর সুন্দর আলী, রবিউল ও ইসরাফিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্য আসামিরা বিভিন্ন সময় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। গ্রেপ্তারকৃত তিনজনও জামিন পান। সবশেষ জামিন পান কবির হোসেন।

খায়ের হত্যার চার বছর পার হলেও বিচার হয়নি। আসামিরা জামিনে বের হয়ে অবিরাম হত্যার হুমিক দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে খায়েরের পরিবার।

এ বিভাগের আরো খবর