নওগাঁ শহরের যানজট নিরসনে চার লেনের সড়ক তৈরির প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। স্থানীয়দের আশা, এই সড়ক হলে মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ কমবে।
শহরের মধ্যে সড়ক তৈরির এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৩৬ কোটি টাকা।
স্থানীয় সওজ কার্যালয় থেকে জানা যায়, এই মেগা প্রকল্পে থাকবে চারটি ফুটওভার ব্রিজ, ১০টি মিনি বাসস্টপ, ১৪টি কালভার্ট, ফুটপাত ও উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ আধুনিক সব সড়ক কাঠামো ব্যবস্থা। বর্তমান যে রাস্তা আছে তা প্রশস্ত করে ৮০ ফুট করা হবে।
চার লেনের ১৬ কিলোমিটার এই রাস্তা শুরু হবে শহরের ঢাকা মোড় থেকে। এরপর ব্রিটিশ আমলে তৈরি লিটন ব্রিজ থেকে বাটার মোড়, সরিষাহাটির মোড়, মহিলা কলেজ মোড়, মুক্তির মোড়, কাজীর মোড়, দয়ালের মোড় হয়ে নওগাঁ-রাজশাহী সড়কের চৌমাশিয়া পর্যন্ত গিয়ে শেষ হবে।
দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ অবসানের উদ্যোগ নেয়ায় খুশি স্থানীয় লোকজন। তারা চান দ্রুত যেন প্রকল্প অনুমোদন করে বাস্তবায়ন হয়।
শহরের মাস্টারপাড়ার জয়দেব চন্দ্র সাহা বলেন, ‘আমাদের নওগাঁ শহর প্রাচীন হলেও এখানে মানুষের বসবাস যেভাবে বেড়েছে, সে তুলনায় রাস্তাঘাট ও আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধার খুবই অভাব রয়েছে। বিশেষ করে শহরের যানজট। আশা করছি শহরের যানজট নিরসনে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।’
উকিলপাড়ার আফসা ইয়াসমীন কণা জানান, এই শহরে ২ লাখ মানুষ থাকে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন জেলার হাজার হাজার মানুষ শহরের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করে। রাস্তা বেশি প্রশস্ত না হওয়ায় যানজট লেগেই থাকে। যে মেগা প্রকল্প নেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে প্রতিদিনের ভোগান্তি কমে যাবে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের নওগাঁ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার দেব বলেন, ‘শহরের মধ্যে চার লেন সড়ক নওগাঁবাসীর অনেক দিনের দাবি ছিল। এই প্রকল্পের উদ্যোগ আমাদের জন্য অনেক খুশির খবর।’
সওজের নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, গত সপ্তাহে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম নওগাঁয় এসে জায়গা পরিদর্শন করে গেছেন। একনেক সভায় ৯৩৬ কোটি টাকার এই প্রকল্প অনুমোদন পেলেই বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রকল্প ব্যয়ের সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে। বাকি ৩৩৬ কোটি টাকা উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হবে।’