বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতের রপ্তানি বন্ধের গুঞ্জনে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ

  •    
  • ৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:২২

পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আগামী ১১ অক্টোবর বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। যেখানে পেঁয়াজ আমদানির ওপর আরোপিত ৫ শতাংশ কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেয়া হতে পারে। এতে আমদানি পর্যায়ে পেঁয়াজের খরচ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাজারে হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। এবারও সেই আশঙ্কাই করছেন সাধারণ ক্রেতারা। সরকারি হিসেবেই দেশে গত এক সপ্তাহে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত। আর বাস্তবে তা শতভাগের কাছাকাছি।

কেন এমন দাম বাড়ছে তার কোনো সদুত্তর নেই খুচরা বিক্রেতাদের কাছে। মাত্র এক সপ্তাহ আগেও বাজারে পেয়াজ পাওয়া গেছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। কিন্তু পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় পাড়া মহল্লার ক্রেতাদের প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে গুনতে হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।

গত বছর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সে সময় অভিযোগ ছিল, ভারত থেকে রপ্তানির বন্ধ করে দেয়ার কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। এবারও একই রকম পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, দুর্গাপূজার পরই ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেবে।

এ অবস্থায় পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আগামী ১১ অক্টোবর বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। যেখানে পেঁয়াজ আমদানির ওপর আরোপিত ৫ শতাংশ কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেয়া হতে পারে। এতে আমদানি পর্যায়ে পেঁয়াজের খরচ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারিপণ্যের বাজার কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে নতুন দামে। বিক্রেতা খলিলুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, পাইকারিতে ৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ। গত সপ্তাহে এই পেয়াজের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪২ টাকা। অন্যদিকে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৬৮ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগে এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়।

খলিলুর রহমান আশঙ্কা করছেন, পেঁয়াজ সরবরাহের যে অবস্থা তাতে পাইকারি বাজারে এর দাম ৮০ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

সরকারি বাণিজ্য সংস্থা টিসিবিও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে। তারা বলছে, গত এক মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দর বেড়েছে ৮৬ শতাংশ। তার এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দর বেড়েছে ৭৫ শতাংশ।

তাদের হিসেবে দেশি পেঁয়াজের বর্তমান বাজার দর ৮০ টাকা। এক মাস আগে যা ছিল ৪৩ টাকা। আর এক সপ্তাহ আগেও যা বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকায়। আর বর্তমানে সেটি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়।

তবে খুচরা বাজারগুলোতে পেঁয়াজের আকার অনুযায়ী দাম রাখা হচ্ছে। খিলগাঁও বাজারে দেশি পেঁয়াজের তিনটি আকারের আলাদা আলাদা দাম রাখা হচ্ছে। আকারে বড়গুলোর দাম রাখা হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকা কেজি। মাঝারিগুলো ৭০ টাকা। আর একেবারে ছোট আকারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।

বিক্রেতা নাজমুল বলেন, পাইকারি বাজার থেকে বস্তা হিসেবে আনতে হয়। দাম এখন বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের ক্রেতা কমে গেছে। তাই আকার অনুযায়ী ভাগ করে রাখায় দাম অনুযায়ী ক্রেতারা কিনতে পারছেন।

এদিকে, শীতের আবহে বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতের সবজি। শখে কেউ শিম, ফুলকপি আর টমেটো দিয়ে মুখরোচক সবজি খেতে চাইলে তাকে গুণতে হবে বাজারের স্বাভাবিক সবজির চেয়ে দ্বিগুণ বেশি দাম।

বাজারে পাঁকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। কাঁচা টমোটে ১২০ টাকা। আর শিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। ছোট আকারের ফুলকপি কিনতে হবে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানা পদের শাকও।

এরমধ্যে পালং শাকের আটি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। আর লাল শাক ১৫ থেকে ২০ টাকায়।

এ ছাড়া কেজিতে পটল ৫০ টাকা, ঢেড়শ ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, উস্তে ৮০ টাকা, করলা ৬০, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, মূলা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাধাকপি প্রতি পিস ৬০ টাকা, লাউ পিস ৬০ টাকা, বেগুন কেজি ৮০ টাকা, কালো গোল বেগুন কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা আর ধনে পাতা ১২০ টাকায়।

মালিবাগ কাঁচা বাজারের বিক্রেতা বাপ্পি বলেন, শীতের সবজির সরবরাহে এখনও ঘাটতি আছে। আরও এক থেকে দুই সপ্তাহ পরে বাজারে ভালো মানের শীতের সবজি পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, মিস্টি কুমড়া আগে আস্ত কিংবা ফালি হিসেবে বিক্রি হলেও এখন তা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ৪০ টাকা।

বাজারে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮৯ টাকা কেজিতে। আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। দেশি হলুদের দাম ২২০ টাকা, আমদানি করা ১৮০ টাকা, দেশি আদা ১৯০ টাকা, আমদানি করা ১৩০ টাকা। জিরা ৪২০ টাকা, দারুচিনি ৪৫০ টাকা, এলাচ ৩ হাজার ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, ৫ লিটারেরর বোতল বিক্রি হচ্ছে ৭৩০ টাকায়।

চালের মধ্যে নাজিরশাইল ও মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকায়, পাইজম ও লতা বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায়। স্বর্ণা ও চায়না ইরি বা মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে।

এ বিভাগের আরো খবর