বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চার ডানায় দোয়েলের ওড়ার প্রস্তুতি

  •    
  • ৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:৫৯

দোয়েলের প্রোডাক্ট লাইন-আপে এতদিন ল্যাপটপের বাইরে আর কিছু ছিল না। এবার টেশিস উন্নত ল্যাপটপের পাশাপাশি উন্নত মানের ট্যাব, অ্যান্ড্রয়েড টিভি এবং ওয়াইফাই রাউটার উৎপাদনের কথা ভাবছে।

বাজারে বৈশ্বিক বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপের চেয়ে দেশি ব্র্যান্ড দোয়েলের দাম অনেক কম। তবুও এটি গত এক দশকেও জনপ্রিয়তা পায়নি। কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কাছে হয়ে উঠতে পারেনি আস্থার প্রতীক।

জাতীয় পাখির নামে রাখা এ ল্যাপটপের নাম। তবে এবার চার পণ্য নিয়ে নতুন বছরে নতুন করে আবারও ওড়ার আয়োজন করছে দোয়েল। নেয়া হচ্ছে নতুন প্রকল্প।

দোয়েলের উৎপাদক প্রতিষ্ঠান টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) বলছে, নানা সীমাবদ্ধতার কারণে তার সক্ষমতার সামান্যই ব্যবহার করতে পেরেছে দোয়েল। উৎপাদন শুরুর এক দশক পর এবার নতুন পণ্য ও অন্যান্য সহায়ক অবকাঠামো নিয়ে নতুন করে যাত্রা শুরু করতে চাইছে টেশিস।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের শেষের দিকে এই ল্যাপটপ উৎপাদন উদ্বোধন করেছিলেন। দাম কম হওয়ার কারণে এটি বাজারে বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করেছিল। কিন্তু মান নিয়ে নানা অভিযাগের কারণে এটির বাজার দখলের আশা মিইয়ে যায়।

দোয়েলের প্রোডাক্ট লাইন-আপে এতদিন ল্যাপটপের বাইরে আর কিছু ছিল না। এবার টেশিস উন্নত ল্যাপটপের পাশাপাশি উন্নত মানের ট্যাব, অ্যান্ড্রয়েড টিভি এবং ওয়াইফাই রাউটার উৎপাদনের কথা ভাবছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ছয় মাসের মধ্যে ক্রমান্বয়ে বাজারে আসবে এ চার পণ্য। এর জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।

প্রথমে ২ হাজার টেলিভিশন, ২ হাজার ল্যাপটপ, ৩ হাজার ট্যাব এবং প্রায় ৫০০ ওয়াইফাই রাউটার তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে টেশিস।

টেশিসের সদ্য সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফখরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘দোয়েল ল্যাপটপকে আরও বড় আকারে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর জন্য কিছু সময় লাগছে। মানও বাড়বে। আমরা ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আবারও তা আনার জন্য চেষ্টায় আছি।

‘এ ছাড়া আমরা একটি প্রজেক্টে ১৫ হাজার ৩০০ ল্যাপটপ দেব। এটা আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে দিতে হবে। আশা করছি, প্রাইমারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে ১০ হাজার ল্যাপটপ দিতে পারব। এ ছাড়া খোলা বাজারে সাধারণ ক্রেতাদের কাছেও আরও কিছু ল্যাপটপের চাহিদা রয়েছে।’

ফখরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘আমরা টেলিভিশন অ্যাসেম্বলিং শুরু করছি। অ্যান্ড্রয়েড ৯ ভারসনের গুগল সাপোর্ট টেলিভিশন হবে। এ জন্য সব প্রিপারেশনও নেয়া হয়েছে। আরও ট্যাব ও ল্যাপটপ উৎপাদন করা হবে। নতুন করে ওয়াইফাই রাউটারের উৎপাদনেও যাব আমরা। এ চারটা ডিভাইস ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে যাচ্ছি। সব ব্র্যান্ডের নাম হবে দোয়েল।’

সংস্থাটি জানিয়েছে, নতুন উৎপাদন শুরু পাশাপাশি বিভাগীয় শহর, বৃহত্তর জেলাগুলোতে সার্ভিস ও সেলস সেন্টার খোলা হবে। ক্রমান্বয়ে তা জেলা পর্যায়ে নেয়া হবে। নিজেরাই যন্ত্রাংশ আমদানি করবে সংস্থাটি। এমনকি যন্ত্রাংশ উৎপাদন শুরুর প্রক্রিয়াতেও যাবে। এসব প্রকল্পের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝ্যে ল্যাপটপ জনপ্রিয় করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

ফখরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘এখন আমরা যখন কোনো প্রজেক্ট পাই, তখন তাদের টার্গেট অনুসারেই আমরা ওই পরিমাণ ল্যাপটপ উৎপাদন করি। তার সঙ্গে হয়তো কিছু বেশি উৎপাদন কর হয়। মার্কেটে সেল করার জন্য সাড়ে আটশ ল্যাপটপ আনার প্রক্রিয়া চলছে, এটা যে কোনো সময় চলে আসবে। ডিজাইনও ফাইনাল।’

বাড়বে মানেও

বাজারে র‌্যাম ও হার্ড ডিস্কের ক্ষমতা দ্রুত বাড়ছে। ইনটেল কোম্পানির মাইক্রো প্রসেসরের ক্ষেত্রে এখন বাজারে আই-সেভেন চলছে। আই-নাইন চলে আসবে শিগগিরই। এইসব সর্বাধুনিক যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে দোয়েলের ডিজাইনে আনা হবে নতুনত্ব।

দোয়েলের ফ্রিডম মডেল ল্যাপটপের বাজারমূল্য ২২ হাজার টাকা। সেটি এখন ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ল্যাপটপের তুলনায় দোয়েলের দাম কম। তবে তা জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে। তবে নতুন নতুন মডেলের নতুন মানের ল্যাপটপ নিয়ে আসবে দোয়েলে।

ফখলুল হায়দার বলেন, ‘এক সময় আমাদের কোয়াডকোর ছিল, আইথ্রি ছিল। এখন টেন জেনারেশন চলছে। জেনারেশন চেঞ্জ বড় কথা। তবে নরমালি যারা পড়াশোনা করে, তাদের জন্য আইথ্রি যথেষ্ট। আর স্টোরেজ ক্যাপাসিটি বিষয় না। তবে র‌্যাম বাড়লে স্পিড একটু বাড়ে। মান আরও বাড়ানো হবে।’

উৎপাদন ক্ষমতা

কথা ছিল ল্যাপটপের মাদার বোর্ডসহ শতকরা ৬০ ভাগ যন্ত্রাংশ টেশিস তৈরি করবে। তবে তেমনটা হয়নি। বেশিরভাগ ভাগ যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হয়। বর্তমানে এক শিফটে ৫০০ ল্যাপটপ সংযোজনের ক্ষমতা রয়েছে টেশিসের। দুই শিফটে করলে তা দাঁড়ায় দিনে ১ হাজার। পাশাপাশি নতুন করে খুচরা যন্ত্রাংশ উৎপাদনেও নেয়া হচ্ছে প্রকল্প।

এ বিভাগের আরো খবর