বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার মাদ্রাসার শিক্ষক কাটলেন ৬ ছাত্রের চুল

  •    
  • ৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:২৪

মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজমুল আলম ও ফজলে রাব্বীসহ কয়েকজন জানায়, বুধবার তাদের ইংরেজি ক্লাস চলার সময় কাঁচি নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়েন শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির। পরে তিনি তাদের ছয়জনের চুল কেটে দেন।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ ছাত্রের চুল কেটে দেয়া নিয়ে উত্তেজনা শেষ না হতেই এবার লক্ষ্মীপুরের একটি মাদ্রাসার ছয় শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিয়েছেন এক শিক্ষক।

রায়পুর উপজেলার হামছাদী কাজির দিঘীরপাড় আলিম মাদ্রাসায় বুধবার দশম শ্রেণির ক্লাস চলার সময় শ্রেণিকক্ষে ঢুকে তাদের চুল কেটে দেন সিনিয়র শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির। তবে বিষয়টি শুক্রবার জানাজানি হয়।

ছাত্রদের চুল কাটার একটি ভিডিও শুক্রবার ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজমুল আলম ও ফজলে রাব্বীসহ কয়েকজন জানায়, বুধবার তাদের ইংরেজি ক্লাস চলার সময় কাঁচি নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়েন শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির। পরে তিনি তাদের ছয়জনের চুল কেটে দেন।

তারা আরও জানায়, ওই ঘটনার পর তারা ক্লাস না করেই বেরিয়ে যায়। পরে অন্য শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় ক্লাস শেষ করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ছাত্র বলে, ‘ইংরেজি ক্লাসের প্রথম ঘণ্টা পড়ার পর হঠাৎ করে মঞ্জুরুল স্যার আমাদের ক শাখার ক্লাসে ঢুকে ৬ ছাত্রের চুল কেটে দেন। তবে খ শাখার কোনো ছাত্রের চুল উনি কাটেননি।

‘আমি মাথা বেল করে চার দিন মাদ্রাসায় যাইনি। পরে স্যার দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দিলে মাদ্রাসায় যাই।’

শিক্ষক মঞ্জুরুল কবিরও শিক্ষার্থীদের চুল কাটার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তার দাবি, তিনি দাখিল শ্রেণির সব ছাত্রকে আগের দিন চুল কেটে মাদ্রাসায় যেতে বলেছিলেন। তবে ছাত্ররা তার কথা না মানায় কয়েকজনের চুল কেটে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি ওদেরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে থাকা এবং নীতিনৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার জন্যই চুল কেটে দিয়েছি। তবে আমি কাউকে কোনো হুমকি দিইনি।’

শিক্ষক মঞ্জুরুল কবিরের বিরুদ্ধে জামায়াতসংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনেছেন বামনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাফাজ্জল হোসেন মুন্সী।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির হওয়ায় প্রায় সময় ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেন। তার ভয়ে ছাত্র তো দূরের কথা, অন্য শিক্ষকরাও নিরুপায় বলে আমি জানি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। যদি সত্যতা পাওয়া যায় তা হলে বিধি মোতাবেক ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর