বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবির হলে ছাত্রলীগের অস্ত্র নিয়ে মহড়া

  •    
  • ৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:১৫

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি আমার কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সোর্স থেকে খবর নিয়েছি। তারা কিছু বলতে পারছে না। আমি আবারও খোঁজ নেব। যে রুম নিয়ে ঝামেলা সে রুমে বরাদ্দ দেব আমরা। অন্য কারও বরাদ্দে সেখানে শিক্ষার্থী ওঠানো হবে না।’

রুম দখলকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

বুধবার রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসএম হলের নিচতলার ৭৯ নম্বর রুমে থাকতেন হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুলিয়াস সিজার তালুকদার। রুমটি তিনি ছেড়ে দেয়ায় সেখানে এখন কাদের তোলা হবে তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারীরদের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল।

এই বিষয়ে বুধবার রাতে হলের অতিথি রুমে আলোচনায় বসে সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারীরা। সভায় সিদ্ধান্ত আসে প্রতি গ্রুপ থেকে একজন করে মোট ছয়জনকে সেই রুমে তোলা হবে।

তবে এই সিদ্ধান্ত মানেননি জুলিয়াস সিজার তালুকদারের অনুসারীরা। রাত দেড়টার দিকে রড, লাঠি, স্টাম্প ও ছুরি হাতে মহড়া দেয় তারা। একপর্যায়ে এক ছাত্রের গলায় ধরা হয় ছুরি।

এ বিষয়ে জুলিয়াস সিজারের অনুসারী ছাত্রলীগকর্মী তানজীদ তালুকদার বলেন, ‘এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভাইদের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছিল। বড় ভাইয়েরা বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন। গলায় ছুরি ধরার অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটা হলেই গ্রুপ থাকে। সেখানে কিছু রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হয়। বুধবার নিজেদের ভেতর সিট নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছিল। পরে হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস ভাইয়ের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান হয়।’

এ বিষয়ে জানতে জুলিয়াস সিজারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। গতকালই সেটি মীমাংসা হয়েছে। গলায় চুরি ধরার বিষয়টি জানি না। আমি খোঁজ নিচ্ছি।’

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি আমার কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সোর্স থেকে খবর নিয়েছি। তারা কিছু বলতে পারছে না। আমি আবারও খোঁজ নেব। যে রুম নিয়ে ঝামেলা সে রুমে বরাদ্দ দেব আমরা। অন্য কারও বরাদ্দে সেখানে শিক্ষার্থী ওঠানো হবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর