দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাটের রাজবাড়ী দৌলতদিয়া প্রান্তে সৃষ্টি হয়েছে যানবাহনের জট।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ৩ কিলোমিটার অংশে কাঁচা পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যানের সারি। তবে বাসের সিরিয়াল স্বাভাবিক ছিল।
যানবাহনের দীর্ঘ জট থাকায় পারের অপেক্ষায় থেকে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ট্রাকচালকরা। দীর্ঘ সময় ঘাট এলাকায় পারের অপেক্ষায় থেকে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে।
অন্যদিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া মহাসড়কে রয়েছে আরও ২ কিলোমিটার ট্রাকের সারি।
গোয়ালন্দ মোড়ে আটকে থাকা ট্রাকচালক সোহেল বলেন, ‘রাত থেকে এখানে আটকে আছি আমরা। ফেরিঘাট এলাকায় হোটেল-বাথরুম থাকলেও এ এলাকায় সেগুলোর ব্যবস্থা নেই। দীর্ঘ সময় ফেরি পারের অপেক্ষায় আছি। জানি না কখন ফেরির দেখা পাব।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন (বাণিজ্য) নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘাটে এখন পর্যাপ্ত ফেরি রয়েছে। পদ্মা নদীতে ড্রেজিং কাজ চলছে। এতে ফেরি চলতে একটু সময় লাগছে। তাছাড়া ফেরির তুলনায় ঘাটসংখ্যা কম থাকার কারণে ফেরি ঘাটে ভিড়তে সময় লাগছে।
‘পারের অপেক্ষায় কিছু সিরিয়াল আছে। আমরা অগ্রাধিকার দিয়ে পচনশীল পণ্যের ট্রাক ও বাস পার করছি। মূলত অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ থাকায় দৌলতদিয়ায় সিরিয়াল হচ্ছে।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাট
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে স্বল্প পরিসরে ফেরি চলাচল করায় ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে শত শত গাড়ি। চারটি কে টাইপ ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে বিআইডব্লিউটিসি।
পাঁচ মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-মাঝিরকান্দি রুটে স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়েছে। এদিন বেলা দেড়টার দিকে রুট পারমিট পাওয়া ২৯টি স্পিডবোট চলাচল শুরু করে।
স্পিডবোট ঘাটেও দেখা গেছে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন।
এদিকে এ রুটে লঞ্চগুলো ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি যাত্রী নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, এ রুটে বর্তমানে পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে। সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করায় ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক শ যানবাহন।