বগুড়ার নন্দীগ্রামে এক স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির ঘুসিতে আরেক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের তিনটি দাঁত ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত অবস্থায় ওই শিক্ষককে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দাঁত হারানো সাজ্জাদুল ইসলাম দুদু উপজেলার ভর তেতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তাকে ঘুসি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার কোশাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শামিম হোসেন লিটনের বিরুদ্ধে।
তবে শামিম বলেছেন, ঘুসিতে নয়, কলাপসিবল গেটে ধাক্কা লাগায় সাজ্জাদুলের দাঁত ভেঙেছে।
সাজ্জাদুলের স্ত্রী কোশাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মঞ্জুয়ারা বেগম।
নিউজবাংলাকে তিনি জানান, স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে। সেখানে শিক্ষক নিয়োগের বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কমিটির সভাপতি শামিম হোসেন লিটনের তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে স্কুলের নোটিশ খাতা ছিঁড়ে ফেলেন শামিম।
মঞ্জুয়ারা বলেন, সভার ঘটনা শুনে তার স্বামী সাজ্জাদুল উপজেলার পন্ডিতপুকুর বাজারে শামিমের কাপড়ের দোকানে যান। স্ত্রীর পক্ষ থেকে সভায় হট্টগোলের বিষয়টি মিটমাট করতে চাইলে তার সঙ্গে শামিমের তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে শামিম ঘুষি দিলে সাজ্জাদুলের সামনের তিনটি দাঁত ভেঙে যায়। স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে শুক্রবার সকালে শহীদ জিয়া মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে শামিম হোসেন বলেন, ‘হাতাহাতিতে নয়, দোকান থেকে দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার সময় কলাপসিবল গেটে ধাক্কা লেগে সাজ্জাদুলের দাঁত পড়ে যায়।’
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।