জামালপুরের বকশিগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে থেকে নারীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের ডুমুরতলার আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ছামিরনের প্রতিবেশী শাহ আলম জানান, স্বামী মো. নেহালের মৃত্যুর পর ওই ঘরে একাই থাকতেন নিঃসন্তান ছামিরন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার ঘর থেকে চিৎকার শোনা যায়। পরে প্রতিবেশীরা তার ঘরের দরজায় ধাক্কা দিলেও ছামিরনের সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে ঘরের ভেতরে থেকে কারও হাঁটাচলার শব্দ পান প্রতিবেশীরা। বাইরে থেকে ঘরের দরজা আটকে দিয়ে পুলিশকে জানানো হয়।
বকশিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম সম্রাট নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত পৌনে ২টার দিকে পুলিশ যাওয়ার আগেই ঘরের জানালা ভেঙে পালিয়ে যায় হত্যাকারী। এলাকাবাসি ধাওয়া করেও তাকে ধরতে পারেনি। অন্ধকার থাকায় তাকে শনাক্ত করতে পারেনি কেউ। পরে ঘরের দরজা ভেঙে ছামিরনের বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার দেহে বেশ কিছু জখমের চিহ্ন ছিল।’
প্রতিবেশীদের বরাতে ওসি জানান, স্বামী মো. নেহালের মৃত্যুর পর ওই ঘরে একাই থাকতেন নিঃসন্তান ছামিরন।
ওসি আরও বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ছামিরনের বড় ভাই ফুল বাসার একটি হত্যা মামলা করেছেন। তদন্তের স্বার্থে হত্যার কারণ বা হত্যাকারীর বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে খুব শিগগিরি হত্যাকারীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’