বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কলাবাগান মাঠে পূজায় সায় দিচ্ছে না ডিএসসিসি: উদযাপন কমিটি

  •    
  • ৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৩:৩১

ধানমন্ডি সর্বজনীন পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোমেন সাহা বলেন, ‘গত ২৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম মহোদয়ের শরণাপন্ন হলে তিনি আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দুই দিনের মধ্যে পূজা উদযাপন করার অনুমতি প্রদান করেন। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র থাকা সত্ত্বেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অসহযোগিতা ও বাধার কারণে আমরা পূজা উদযাপন করতে পারছি না।’

বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে সোমবার। প্রতিবারের মতো এবারও ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মাঠে এ পূজা আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিল ধানমন্ডি সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি। তবে অন্যবারের মতো এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অনুমতি না পাওয়ায় মাঠে পূজার আয়োজন করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে কমিটি।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ধানমন্ডি সর্বজনীন পূজা উদ্‌যাপন কমিটি এ কথা জানায়।

ওই সময় কমিটি ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের পদত্যাগ দাবি করে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পূজার অনুমতি না দিলে সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও মন্দিরে মন্দিরে কালো পতাকা টানানোর ঘোষণাও দিয়েছে কমিটি।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা মেয়র মহোদয়ের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এই বিষয়ে উনিই বলতে পারবেন যে কেন অনুমতি দেয়া হচ্ছে না।’

১৪ বছর ধরে একই স্থানে পূজা হলেও এবার কেন এমন হচ্ছে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এই মাঠটি এক বছর যাবৎ ডেভেলপ করা হচ্ছে। খুব অত্যাধুনিকভাবে কাজ করে ১ কোটি টাকা খরচ করে দুই সপ্তাহ আগে এটি সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত খেলার জন্য মাঠ খুলে দেয়া হয়নি।’

বিকল্প কোনো ব্যবস্থা আছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যারা পূজা উদযাপন করবে তাদের কারণ বলা হয়েছে। তবে তারা আমাদের কাছে বিকল্প কোনো জায়গার কথা বলেননি।’

সংবাদ সম্মেলন ধানমন্ডি সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোমেন সাহা বলেন, ‘ধানমন্ডি, কলাবাগান, হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, নিউ মার্কেট ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা ২০০৭ সাল থেকে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মাঠে সর্বজনীন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছে। অত্র এলাকার প্রায় ৬০ হাজার হিন্দু অধিবাসীর জন্য কোনো মন্দির না থাকায় কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মাঠেই ১৪ বছর ধরে সর্বজনীন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করা হয়। ঐতিহ্যবাহী প্রার্থনীয় এই পূজা সারা বাংলাদেশে সাতবার প্রথম স্থান অর্জন করেছে।’

তিনি বলেন, ‘গত ২৬ আগস্ট আমরা বিগত বছরের মতো বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশিত সব নিয়ম-কানুন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপনের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র বরাবর লিখিত অনুমতি প্রার্থনা করি। কিন্তু এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর বারবার যোগাযোগ করেও কোনো রকম সাড়া পাই নাই।’

এ বছরও ১৫তম বারের মতো ‘সর্বজনীন শারদীয় দুর্গাপূজা’ উদযাপন করার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন সোমেন।

তিনি বলেন, ‘গত ২৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম মহোদয়ের শরণাপন্ন হলে তিনি আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দুই দিনের মধ্যে পূজা উদযাপন করার অনুমতি প্রদান করেন। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র থাকা সত্ত্বেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অসহযোগিতা ও বাধার কারণে আমরা পূজা উদযাপন করতে পারছি না।’

সোমেন বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি উক্ত স্থানে পূজা করতে না দেয়া হয়, তাহলে ঢাকাসহ সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ, আন্দোলন, সব পূজা মন্দিরে কালো পতাকা প্রদর্শন ও সেই সঙ্গে গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে।’

সোমেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যদি মাঠে পূজা করতে দেয়া না হয় তবে রাস্তায় হলেও পূজা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, অনুমতিপত্র মেয়রের টেবিলে। উনি অনুমতি দিলেই হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ধানমন্ডি সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী শৈলেন্দ্র নাথ সাহা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি জয়ন্ত সেন দিপু, পূজা উদযাপন পরিষদের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি কাজল দেবনাথসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর