ছয় বছর বয়সী ছোট্ট তানজিমা। নানি জাহানারা খাতুনের সঙ্গে বেড়াতে যাচ্ছিল ঢাকার মহাখালীর করাইলে মামার বাড়িতে। পথেই হারিয়ে যায় মেয়েটি।
অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের খোঁজ মেলে না। এরপর পেরিয়ে গেছে ২২ বছর। বাবা-মা মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন।
তবে শেষমেশ মেয়েকে খুঁজে পেয়েছেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের মগটুলা ইউনিয়নের তরফফাচাইল গ্রামের নূরুল হুদা ও জোসনা বেগম দম্পতি।
রাজধানীর রামপুরা বনশ্রীতে স্বামীর বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে মা-বাবার সঙ্গে ২২ বছর পর নিজের গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন তানজিমা।
নূরুল হুদা নিউজবাংলাকে জানান, ছয় বছর বয়সে ১৯৯৯ সালের ৮ মার্চ তাদের মেয়ে হারিয়ে যায়। দুই মাস ঢাকায় থেকে তারা অনেক জায়গায় খুঁজেছেন, মাইকিং করেছেন। কোথাও পাননি। শেষ আশা ছিল, মৃত্যুর আগে অন্তত একবার মেয়ের দেখা পাওয়া।
তিনি বলেন, ‘চার দিন আগে আপন ঠিকানা নামের একটি ফেসবুক পেজে তানজিমাকে নিয়ে ভিডিও দেখি। ভিডিওতে সে হারিয়ে যাওয়ার অল্প কিছু তথ্য দেয়। ওই ফেসবুক পেজের মালিক আরজে কিবরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়েকে খুঁজে পেয়েছি। আরজে কিবরিয়ার প্রতি আমি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই।’
তানজিমা জানান, হারিয়ে যাওয়ার পর তাকে লালনপালন করেছেন ঢাকার শান্তিবাগ এলাকার রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তা গোকরান মিয়া। তিনি তাকে বিয়েও দিয়েছেন। তবে আর বেঁচে নেই গোকরান মিয়া। ছয় বছরের সেই হারিয়ে যাওয়া মেয়েটি এখন তিন সন্তানের মা।