বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মণ্ডপ বাড়লেও লাভ দেখছেন না প্রতিমাশিল্পীরা

  •    
  • ৮ অক্টোবর, ২০২১ ১২:৩১

প্রতিমা কারিগর সাধন পাল বলেন, ‘এবার ৪টা মন্দিরের প্রতিমার কাজ পাইছি। রঙয়ের কাজ করতাছি। এইবার লাভ অইতো না। আগে যে প্রতিমা তৈরি কইরা ৬০-৭০ হাজার টাকা নিছি এইবার ৪০-৫০ হাজারে করতে অইতাছে। আমার সঙ্গে ৪-৫ জন কাজ করে। হেরারে দিয়া কিছুই থাকত না।’

ষষ্ঠীর বাকি আর মাত্র দুই দিন। এরপরই শুরু হবে বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব। সারা দেশের মণ্ডপগুলো পূজার জন্য প্রায় প্রস্তুত। মৃৎশিল্পীরা প্রতিমায় ছোঁয়াচ্ছেন তুলির শেষ আঁচড়।

সারা দেশের মতো নেত্রকোণাতেও চলছে দুর্গোৎসবের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। গত বছরের চেয়ে এবার পূজা মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে সেখানে। তবে বরাদ্দ কম হওয়ায় হতাশ প্রতিমাশিল্পীরা। তারা বলছেন, প্রতিমার চাহিদা বাড়লেও লাভ হচ্ছে না তেমন।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ সাহা রায় জানান, নেত্রকোণায় গত বছর ৫০৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর মণ্ডপ বেড়ে হয়েছে ৫৪০টি।

শহরের কয়েকটি মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, চলছে ধোয়ামোছা ও প্যান্ডেল তৈরির কাজ।

প্রতিমা কারিগর সাধন পাল বলেন, ‘এবার ৪টা মন্দিরের প্রতিমার কাজ পাইছি। রঙয়ের কাজ করতাছি। এইবার লাভ অইতো না। আগে যে প্রতিমা তৈরি কইরা ৬০-৭০ হাজার টাকা নিছি এইবার ৪০-৫০ হাজারে করতে অইতাছে। আমার সঙ্গে ৪-৫ জন কাজ করে। হেরারে দিয়া কিছুই থাকত না।’

আরেক কারিগর অঘর পাল বলেন, ‘করোনার লাইগ্যা মানুষের হাতেও তেমন টাকা নাই। এর লাইগ্যা মণ্ডপগুলোতে বাজেট কমায়া দিছে। যেইরহম আশা করছিলাম হের ধারে কাছেও দাম পাইতাছি না। বাপ-দাদার পেশা ও মনের আনন্দের লাইগ্যাই এই পেশায় আছি।’

৬টি প্রতিমার কাজ পেয়েছেন আরেক মৃৎশিল্পী নিখিল পাল। তিনি সুনামগঞ্জেরও কিছু প্রতিমা তৈরির করেছেন।

তিনি বলেন, ‘কাজতো করতাছি। লাভ নাই। প্রতিমা বানানোর সব সরঞ্জামের দামই বাড়ছে।’

শহরের নিউটাউন এলাকায় পূর্বাচল শারদীয়া গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক রাজু তালুকদার বলেন, ‘করোনায় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ। এর প্রভাব পড়েছে পূজায়। এ কারণে মণ্ডপগুলোতে সাজসজ্জা কম হবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা অনুষ্ঠানে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় থাকবে।’

নেত্রকোণা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মঙ্গল সাহা বললেন, সাজসজ্জা কম হলেও পূজা হবে আনন্দঘন পরিবেশেই।

পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, ‘মণ্ডপের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধির নজরদারিতে এরইমধ্যে সমন্বয় সভা করা হয়েছে। মন্দিরগুলোতে প্রয়োজন অনুসারে স্বাস্থ্য সুরক্ষার সামগ্রী রাখা হয়েছে।

‘মণ্ডপে পুলিশ থাকবে, টহল দল থাকবে, একটি কুইক রেসবেপন্স দল থাকবে, স্ট্রাইকিং ফোর্স রিজার্ভ রাখা হবে। এছাড়াও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যেসব মণ্ডপে লোক সমাগম বেশি হবে, সেখানে বাড়তি নিরাপত্তা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর