সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ২৮ মিনিটের দিকে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মিয়ানমার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে সামান্য হয়েছে। এটি এখনও রিখটার স্কেলে আসেনি। তবে প্রধান উৎপত্তিস্থল মিয়ানমার। রাত ১২টা ২৮ মিনিটের দিকে অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। চট্টগ্রাম এলাকায় ও কোস্টাল এরিয়াতে বোঝা গেছে। বড় ধরনের কোনো কম্পন অনুভূত হয়নি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইউএসজিএস) ভূতত্ত্ব জরিপেও ভূমিকম্পের মাত্রা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের মনেয়াতে৷ রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। স্থানীয় সময় ১২টা ২৮ মিনিটে এটি অনুভূত হয়।
ফের ভূমিকম্পে কাঁপল সিলেট
ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা সিলেট আবার কেঁপে উঠেছে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে।
এদিন রাত ১২টা ২৮ মিনিটে সিলেটে ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিলে ৫ দশমিক ৫। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের উৎপত্তি মিয়ানমারে। সিলেটে কম্পন অনুভূত হলেও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটে থাকেন দিলীপ দেব।
তিনি বলেন, ‘আমি আট তলার ফ্ল্যাটে থাকি। মধ্যরাতে ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ পুরো ভবন কেঁপে ওঠে। এতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। বিশেষত বাচ্চারা কান্না শুরু করে দেয়। আমরা যারা উঁচু ভবনে থাকি তারা কাঁপুনিটা বেশি অনুভব করতে পারি।’
বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই বলে আসছেন, সিলেট ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল। সক্রিয় চ্যুতির কারণে এখানে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। সম্প্রতি সিলেটে কয়েকটি ছোট ভূমিকম্প হয়েছে।
এর আগে ৭ জুন এক মিনিটের ব্যবধানে সিলেটে দুই দফায় ভূমিকম্প হয়। এ ছাড়া ৩০ ও ৩১ মে পাঁচ দফায় কেঁপে ওঠে সিলেট।
ঘন ঘন ভূমিকম্পে আতঙ্কে রয়েছেন সিলেটের স্থানীয় লোকজন।